রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাকর্মীদের ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আদিলুর রহমান খান, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলম।
আওয়ামী লিগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে 'দুটি কথা' শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেই স্ট্যাটাসে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে মুজিববাদী বামরাও দ্রুত পরাজিত হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা চাওয়া প্রসঙ্গে মাহফুজ লিখেছেন, ‘৭১ এর প্রশ্ন মীমাংসা করতেই হবে। যুদ্ধাপরাধের সহযোগীদের ক্ষমা চাইতে হবে। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে। পাকিস্তান এদেশে গণহত্যা চলিয়েছে।( পাকিস্তান অফিসিয়ালি ক্ষমা চাইলেও, তদুপরি আবারো ক্ষমা চাইতে রাজি হলেও, যুদ্ধাপরাধের সহযোগীরা এখনো ক্ষমা চায়নি)। ইনিয়ে বিনিয়ে গণহত্যার পক্ষে বয়ান উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। জুলাইয়ের শক্তির মধ্যে ঢুকে স্যাবোট্যাজ করা বন্ধ করতে হবে। সাফ দিলে আসতে হবে।’
মুজিববাদী বামদের হুশিয়ারি দিয়ে এই উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘মুজিববাদী বামদের ক্ষমা নাই। লীগের গুম-খুন আর শাপলায়, মোদীবিরোধী আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞের মস্তিস্ক এরা। এরা থার্টি সিক্সথ ডিভিশন। জুলাইয়ের সময়ে এরা নিকৃষ্ট দালালি করেও এখন বহাল তবিয়তে আছে। আজ পর্যন্ত মুজিববাদী বামেরা কালচারালি ও ইন্টেলেকচুয়ালি জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করে যাচ্ছে। দেশে বসে জুলাইয়ের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে এরা চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। লীগের এসকল বিটিম ও শীঘ্রই পরাজিত হবে। অন্য কারো কাঁধে ভর করে লাভ নেই।’
এদিকে, গত রাতে উপদেষ্টা পরিসদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।