চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার (১০ মে) এ তথ্য জানিয়ছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে হওয়া সিন্ধু পানি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সিন্ধু নদ ও এর শাখা নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ন্ত্রণ করে।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর এর জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে নয়াদিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে।
আরও পড়ুন: পাল্টাপাল্টি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
পাকিস্তান পেহেলগামের সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে। দেশটি জানিয়েছে, তারা ভারতের একতরফাভাবে সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপের দারস্থ হবে।
পাকিস্তান ওই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে এবং আন্তর্জতাতিক তদন্তের আহ্বান জানায়। পাকিস্তানের কৃষি সেচের ৮০ শতাংশ আসে সিন্ধু পানি চুক্তির মাধ্যমে।
পাকিস্তানের পানি মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, সিন্ধু পানি চুক্তি (যুদ্ধবিরতি) আলোচনার কোনো অংশ না।
ভারত সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তাও রয়টার্সকে জানান, এই চুক্তির বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া দেয়নি। আর পাকিস্তানের পানি মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও প্রকাশ্যে কিছু জানাননি। কাশ্মীর হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে তার অন্যতম এই পানি বণ্টন চুক্তি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-চীনকে ধন্যবাদ, ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ দাবি শেহবাজ শরিফের
ভারত সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, দুই দেশের সংঘাতের ক্ষেত্রে বিরতি দেয়া হলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাণিজ্য, ভিসা স্থগিতের মতো যে সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেগুলো সব বহাল আছে।
শনিবার বিকেলে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেন ট্রাম্প। তিনি জানান, রাতভর আলোচনার পর দুই প্রতিবেশী দেশ তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।
আরেক পোস্টে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার আলোচনার পর তারা যুদ্ধ বন্ধে রাজি হন। ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই ভারত ও ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।