যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়া এটিই তার প্রথম ভাষণ। শনিবার সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হিজবুল্লাহর মহাসচিব বলেন, তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো ‘সমস্যা কিংবা মতের অমিল’ দেখছেন না। যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ৬০ দিনের মধ্যে সেনা মোতায়েন হবে। এই সময়ে ইসরাইল সেখান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করবে এবং হিজবুল্লাহ নিজেদের যোদ্ধা সরিয়ে হবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দাবি ইসরাইলের, দক্ষিণ লেবাননে ফের হামলা
যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ও লেবাননের সেনাদের মধ্যকার সমন্বয়ের কাজটি উচ্চ পর্যায়ে সম্পাদন করা হবে বলে মন্তব্য করেন নাঈম কাসেম। তিনি বলেন, ‘লেবাননের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করব।’
নিরাপত্তা সূত্র ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, এরই মধ্যে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে কিছু লেবানিজ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা মোতায়েন-সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা দেশটির মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘জয়’ বলল হিজবুল্লাহ
এক বছরেরও বেশি সময়ের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় সই হওয়া এ চুক্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ লেবানন থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে ৬০ দিন সময় পাবে ইসরাইল। এ সময় কোনো পক্ষই একে অপরের ওপর হামলা চালাতে পারবে না।
চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর হিজবুল্লাহর দেয়া প্রথম বিবৃতিতে নিজেদের 'জয়ী' বলে আখ্যা দিয়েছে তারা। তবে ইসরাইল ফের হামলা চালালে নিজেরা সবসময় প্রস্তুত বলেও দাবি করে এ সশস্ত্র গোষ্ঠী।
]]>