যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস

৯ ঘন্টা আগে
গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি চায়, চুক্তিতে যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ও গাজা থেকে সব ইসরাইলি সেনা সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি থাকতে হবে।

এদিকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে অগ্রগতি হলেও থেমে নেই উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার বাহিনীর বর্বরতা। ইসরাইলি সেনাদের হামলায় একদিনে গাজায় ১১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছেন এক ইসরাইলি সেনা। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

 

ইসরাইলি বিমান হামলায় আবারও রক্তাক্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। বুধবার (২ জুলাই) দখলদার বাহিনীর গোলাবর্ষণে প্রাণ গেছে আরো শতাধিক ফিলিস্তিনির। 

 

হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিলেন যারা ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে সহায়তা পাবার অপেক্ষয় ছিলেন। আল জাজিরার তথ্য বলছে, শুধু গত পাঁচ সপ্তাহেই গাজায় খাবার সংগ্রহের সময় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনি।

 

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি ‘গণহত্যায়’ সহযোগী কোম্পানিগুলোর তালিকা প্রকাশ

 

চলমান সংঘাতে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমও পড়েছে চরম হুমকির মুখে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, গাজা থেকে জর্ডান ও তুরস্কে চিকিৎসা নিতে যাওয়া শিশু ও স্বজনদের বহনকারী গাড়ি বহরের পাশে হামলা হলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অ্যাম্বুলেন্স ও বাস।

 

কেউ আহত না হলেও পরিস্থিতি চরম আতঙ্কজনক ছিলো বলে জানান সংস্থাটির প্রধান। বলেন, এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসার জন্য গাজার বাইরে পাঠানোর অপেক্ষায় আছেন, তবে পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।

 

গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে ইসরাইলি সেনা নিহতের খবর পাওয়া গেছে। দখলদার বাহিনীর দাবি, শুজাইয়া এলাকায় একটি ট্যাংকে হামলা চালালে আর্মার্ড কোরের ৮২তম ব্যাটালিয়নের সদস্য নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। এমন পরিস্থিতিতে হামাস নির্মূল করে সব জিম্মিকে মুক্ত করা হবে বলে আবারও মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

 

আরও পড়ুন: হামাস যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে গাজাকে ‘ধুলোয় মিশিয়ে’ দেয়ার হুমকি ইসরাইলের

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন