মঙ্গলবার (৩ জুন) প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনীয় আলোচকরা দাবি করেছেন, রাশিয়া আবারও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছে। যা কিয়েভ এবং তার ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে একটি চুক্তির দাবি করে আসছে। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হলও উভয় পক্ষ ১২,০০০ সৈন্যের মৃতদেহ ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন:ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি / দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনাও ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কা
তবে রাশিয়ান প্রতিনিধি দলটি জানিয়েছে, তারা বিশাল ফ্রন্ট লাইনের কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় দুই বা তিন দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, তবে এর বেশি আর কিছু জানানো হয়নি।
সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে আলোচনায় বসেন ইউক্রেন- রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনায়, উভয় পক্ষ অসুস্থ এবং গুরুতর আহত যুদ্ধবন্দিদের পাশাপাশি ২৫ বছরের কম বয়সীদের বিনিময় করতে সম্মত হয়েছে।
দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হওয়ার আগে থেকেই চুক্তির বিষয়ে প্রত্যাশা কম ছিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে চলমান যুদ্ধের অবসান কীভাবে করা যায় তা নিয়ে উভয় পক্ষই এখনও গভীরভাবে বিভক্ত।
মস্কো বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে, যার মধ্যে ২০১৪ সালে সংযুক্ত দক্ষিণ ক্রিমিয়া উপদ্বীপও অন্তর্ভুক্ত।
বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ, যিনি কিয়েভের আলোচক দলের নেতৃত্ব দেন তিন বলেন, ইউক্রেন এখনই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য স্থল, সমুদ্র এবং আকাশ পথে কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য পূর্ণ এবং নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির উপর জোর দিয়েছে।
এছাড়া তিনি জানান, ‘ইউক্রেন কয়েকদিন আগে রাশিয়ার কাছে তাদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হস্তান্তর করেছে। কিন্তু মস্কো তা করেনি। কেবল ইস্তাম্বুলের আলোচনায় তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছে।’
তবে রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় উভয় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন:রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের ভয়াবহ ড্রোন হামলা, ৪০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি
তবে, আলোচনা শেষ হওয়ার পর রাশিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম মস্কোর অবস্থানের মূল বিষয়গুলো প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্বের চারটি আংশিকভাবে দখলকৃত অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীকে প্রত্যাহার করার দাবি।