শনিবার (২ আগস্ট) আল জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই খবর।
ছয় সন্তানের বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মা আবির সোব। গাজা শহরের কাছে সমুদ্রতীরবর্তী একটি শিবিরে তাঁবুতে বসবাস করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাজায় আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণের প্যাকেটে কী কী থাকে?
মাঝে মাঝে খাবারের সন্ধানে একা অথবা তার ১০ বছর বয়সী ছেলে ইউসুফকে নিয়ে উত্তর গাজায় প্রবেশকারী ত্রাণ ট্রাকের জন্য জিকিম ক্রসিং পয়েন্টে যান সোব।
তিনি জানান, আরও যারা সেখানে খাবার সংগ্রহ করতে আসেন তারা বেশিরভাগই পুরুষ। অন্তত তার চেয়ে দ্রুতগামী এবং শক্তিশালী।
এই কথার অর্থ হলো, অনেক সময় খাবার না নিতে পেরে খালি হাতে ফিরে আসতে হয় সোবকে।
যেদিন তিনি ব্যর্থ হন, সেদিন যারা ত্রাণ পায় তাদেরকে তার দুর্দশার কথা জানান। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তার অসহায়ত্ব দেখে অনেকেই তাকে তাদের সংগ্রহ থেকে কিছুটা দেন। এতে হয়ত এক ব্যাগ আটা জোটে সোবের ভাগ্যে।
জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য সারাদিন ধরে মৌলিক জিনিসপত্র যেমন খাবার, পানি, রান্নার জন্য জ্বালানি খোঁজেন গাজার এই মা। কিন্তু খুব কম দিনই হয়েছে, যখন এই তিনটি জিনিস পর্যাপ্ত পরিমাণে তিনি পেয়েছেন, যাতে কোন খাবার তৈরি করতে পারেন।
সাধারণত, যেদিন কিছু রান্না হয় তা হয় ডালের স্যুপ। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যখন ঘরে কিছুই থাকে না এবং তারা সবাই ক্ষুধার্ত থাকেন।
এতে আবির সোব দিন দিন ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন এবং দুর্বল হয়ে পড়ছেন। এখন প্রায়ই খাবার বা পানির খোঁজে বের হলে তিনি মাথা ঘোরা অনুভব করেন।
আরও পড়ুন: খাবারের জন্য খালি পায়ে ১২ কিমি হেঁটে আসা ছোট্ট আমিরকেও ছাড়েনি ইসরাইল!
সোব আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমি ক্লান্ত। আমি আর পারছি না। যদি যুদ্ধ চলতেই থাকে, তাহলে আমি আমার জীবন নেয়ার কথা ভাবছি। আমার আর কোন শক্তি বা ক্ষমতা নেই।’
]]>