যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হুমকির পর কলম্বিয়া অভিবাসী ফেরত চুক্তিতে সম্মত

৩ সপ্তাহ আগে
হোয়াইট হাউস রবিবার বিকালে ঘোষণা করেছে, কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে নেওয়া একাধিক পাল্টা পদক্ষেপ প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র; পাশাপাশি বলা হয়েছে, কলম্বিয়ার অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইট নিয়ে দুই দেশ একটি সমঝোতাতে পৌঁছেছে। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই দেশ সম্মত হয়েছে যে কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই কলম্বিয়া তাদের অভিবাসীদের গ্রহণ করবে; তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমানের ফেরত পাঠানোও এর অন্তর্ভুক্ত। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সামরিক বিমানকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন অভিবাসীদের সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করবে তখনই তিনি তাদের গ্রহণ করবেন; পাশাপাশি পুনর্বাসনের জন্য বেসামরিক বিমান ব্যবহারের দাবিও তুলেছিলেন তিনি। হোয়াইট হাউসও বলেছিল, “কলম্বিয়া যদি এই সমঝোতাকে মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হয়” তাহলে সে দেশের বিরুদ্ধে নতুন শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে যেটি “স্বাক্ষরিত হয়নি, তবে ফাইলে রয়েছে।” হোয়াইট হাউস বলেছিল, কলম্বিয়ার অভিবাসীদের নিয়ে প্রথম বিমানটি সে দেশে না নামা পর্যন্ত কলম্বিয়ার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার উপর পররাষ্ট্র দফতরের ভিসা বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা ও বর্ধিত শুল্ক বজায় রাখা হবে। কলম্বিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার বিকালে বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠেছে এবং এই সমঝোতা নিয়ে আরও আলোচনা করতে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের জন্য ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুই গিলবার্তো মুরিলো ও যুক্তরাষ্ট্রে কলম্বিয়ার দূত ড্যানিয়েল গার্সিয়া-পেনা। কলম্বিয়া বলেছে, তারা তাদের নাগরিকদের দেশে স্বাগত জানাবে এবং সমস্ত অধিকারপ্রাপ্ত নাগরিক হিসেবে তাদের উপযুক্ত ও শালীন অবস্থায় রাখাকে সুনিশ্চিত করবে। দুই দেশের নেতা ধারাবাহিকভাবে উত্তেজনাপূর্ণ বিবৃতি দেওয়ায় যে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা বদলে গেছে এই বিবৃতির ফলে। কলম্বিয়ার পণ্যের উপর অবিলম্বে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং বলেছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে এই শুল্ক বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ শতাংশে। পাশাপাশি, বোগোতায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ বাতিলের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর পাল্টা ২৫ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা করে পেট্রো বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র “আমাদের কখনও শাসন করতে পারবে না।” পেট্রো আরও বলেছিলেন, “একজন অভিবাসী অপরাধী নন এবং একজন মানুষের যে মর্যাদা প্রাপ্য সেইভাবে তাদের সঙ্গে আচরণ করতে হবে।” কলম্বিয়া লাতিন আমেরিকায় আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
সম্পূর্ণ পড়ুন