ক্রিকেটে একজন ব্যাটসম্যান ১ বলে সর্বোচ্চ ৬ রান নিতে পারবেন। সে হিসেবে এক ওভারে যদি ৬ বলে ৬টি ছক্কাও হাঁকান, তাহলে ১ ওভারে আসে ৩৬ রান। তবে এক ওভারে ৪৩ রান নেওয়া কীভাবে সম্ভব?
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার (৩০ আগস্ট) আটলান্টা ফায়ার ও অরল্যান্ডো গ্যালাক্সির মধ্যকার ম্যাচে ঘটে এমন ঘটনা। অরল্যান্ডো দলের কোচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার শিবনারায়ণ চন্দরপল। সেই দলে আছেন তার ছেলে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১০টি টেস্ট খেলা তেজনারায়ণ চন্দরপল। এই দলেরই বোলার ঋষি ভারমান্নি, আর তিনিই এক ওভারে দিয়েছেন ৪৩ রান।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই বিসিবির নির্বাচন
প্রথম চার ওভার শেষে আটলান্টার রান ছিল বিনা উইকেটে ৩০। এরপর আটলান্টার ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বল করতে আসেন ঋষি ভারমান্নি। তার এলোমেলো বোলিংয়ে এক লাফে ৭৩ রানে পৌঁছে যায় আটালান্টা।

নর্থ ক্যারোলাইনার চার্চ সেন্ট পার্কে ভারমান্নি প্রথম বলই করেন ‘নো’। পরের বল দেন ওয়াইড। তৃতীয়বারের চেষ্টায় লাইনে বল করলেও সেটিকে উড়িয়ে মাঠের বাইরে পাঠান ব্যাটসম্যান স্টিভেন টেলর। তবে সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ার দেন ‘নো’ বলের সংকেত।
চতুর্থবার যে বলটি করেন ঋষি ভারমান্নি, সেটিও দেন ‘নো’ বল। এই বলে কোনো বাউন্ডারি না মারতে পারলেও দৌড়ে দুই রান নেন। পঞ্চম বল আবারও দেন ওয়াইড। এরপর ষষ্ঠ বলও ‘নো’ করেন এই পেসার। আর এই বলেও ছক্কা হাঁকান টেলর।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের লিগে খেলার ব্যাপারে কথাবার্তা চালাচ্ছেন অশ্বিন
পরপর ৬টি বল করলেও তার মধ্যে একটিও বৈধ ডেলিভারি দিতে পারেননি ঋষি ভারমান্নি। এরই মধ্যে অবশ্য ২০ রান দিয়েছেন বোলার। সপ্তমবারের চেষ্টার তিনি বৈধ ডেলিভারি দেন। তবে এই বলেও বাউন্ডারি মারেন ব্যাটসম্যান। পরের পাঁচ বল করতে অবশ্য বেশি সময় নেননি তিনি। মাঝে একটি ‘নো’ বলের পর টানা চারটি বলই করেছেন বৈধ।
সব মিলিয়ে ওভারটি শেষ করতে ১৩টি বল করেন ঋষি ভারমান্নি। ৫টি নো বল, ২টি ওয়াইড আর ৪টি ছক্কা ও ২টি চারসহ মোট ৪৩ রান দেন তিনি। এমন ওভারের পর তাকে আর বোলিংয়ে আনেননি অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রান তোলে আটলান্টা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪২ রানে অলআউট হয় অরল্যান্ডো।
]]>