সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জুন) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটাভুটি হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের অন্য ১৪ দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।
গত নভেম্বরের পর থেকে ১৫ সদস্যের এই সংস্থার এটিই প্রথম ভোট। গত নভেম্বরে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব আটকে দেয়।
এবারের প্রস্তাবটিতে গাজায় হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তিরও আহ্বান জানানো হয়। তবে, ওয়াশিংটন বলছে, প্রস্তাবটি গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ যুদ্ধবিরতির দাবি সরাসরি বন্দিদের মুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
আরও পড়ুন: ১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিলেন ট্রাম্প
নিরাপত্তা পরিষদে দেশটির প্রতিনিধি বলেন, তারা এমন কোন প্রস্তাবে সম্মতি দেবে না যাতে ইসরাইলে হামাসের হামলার নিন্দা জানানো এবং সংগঠনটিকে নিরস্ত্র করে গাজা ত্যাগ করতে বলা না হয়।
ভোটাভুটি শুরুর আগেই জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়া ১৫ সদস্যের কাউন্সিলের ১০টি দেশের উপস্থাপিত প্রস্তাবের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কথা স্পষ্ট করে দেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হলো নতুন পাঁচ দেশ
তিনি বলেন, এই সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে যে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হামাসকে পরাজিত করা এবং নিশ্চিত করা যে তারা আর কখনও ইসরাইলকে হুমকি দেয়ার মতো অবস্থানে থাকবে না।
এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ইসরাইলি হামলায় একদিনে প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চার শতাধিক।