যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের হামলা, যা বললো রাশিয়া

১ দিন আগে
প্রথমবারের মতো রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ‘এটিএসিএমএস’ (ATACMS) ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। এই হামলা নিয়ে এবার মুখ খুলেছে ক্রেমলিন, যাতে জানা গেছে এ সংক্রান্ত নতুন তথ্য।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একাধিক ‘এটিএসিএমএস’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি প্রতিহত করা হয়। খবর আরটি’র। 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছেন। মস্কো এর আগে বলেছিল, পশ্চিমা অস্ত্র দিয়ে দূরপাল্লার হামলা ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি যুদ্ধ বাধাবে। 

 

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, ইউক্রেন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে ছয়টি দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এগুলোকে ‘এটিএসিএমএস’ ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: রাশিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের হামলা, ‘বিশ্বযুদ্ধের’ সূচনা?

 

ক্রেমলিনের দাবি, ইউক্রেন থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে পাঁচটি এস-৪০০ এবং প্যান্টসির এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে প্রতিহত করা হয়। অন্যটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সেটি ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে একটি রুশ সামরিক স্থাপনার খোলা জায়গায় পড়ে। এর ফলে আগুন ধরে গেলেও, দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করেছে রুশ সামরিক বাহিনী।

 

এ ঘটনার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সাংবাদিকদের বলেছেন, 

পশ্চিমারা ইউক্রেন সংঘাত বাড়াতে কাজ করছে বলেই মনে হচ্ছে। ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে এটিএসিএমএস হামলা স্পষ্ট লক্ষণ যে তারা সংঘাত বাড়াতে চায়।

 

ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কথিত ফুটেজ প্রকাশ করে ইউক্রেনীয় মিডিয়া এর আগে জানিয়েছিল, ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাত চলাকালে কিয়েভ এই প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রুশ ভূখণ্ডে ‘এটিএসিএমএস’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। হামলাটি ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে একটি গোলাবারুদের ডিপো লক্ষ্য করে চালানো হয় বলে জানা গেছে। যদিও কিয়েভের সামরিক কর্মকর্তারা এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেননি। 

 

আরও পড়ুন: যুদ্ধের ১০০০ দিন: পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পুতিনের

 

এদিকে, ইউক্রেনের এই হামলার ফলে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ’ বা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার শুরু হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইউক্রেনকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে, মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এক ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ডিক্রিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। 

 

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই ডিক্রিতে সই করার মধ্য দিয়ে, পারমাণবিক শক্তিধর দেশ সমর্থিত হলে একটি অ-পারমাণবিক রাষ্ট্রে মস্কোর পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার সুযোগ আরও বিস্তৃত করেছেন পুতিন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন