২০ জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের মূল ধারা বা শর্তে বলা হয়েছে, ‘এই ঘোষণার তারিখের ৯০ দিনের মধ্যে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তের পরিস্থিতি এবং দক্ষিণ সীমান্তের সম্পূর্ণ কার্যকরী নিয়ন্ত্রণ অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত পদক্ষেপ সম্পর্কিত যেকোনো সুপারিশ সম্পর্কে প্রেসিডেন্টের কাছে একটি যৌথ প্রতিবেদন জমা দেবেন, যার মধ্যে ১৮০৭ সালের বিদ্রোহ আইন প্রয়োগ করা হবে কি না, তাও অন্তর্ভুক্ত।’
১৮০৭ সালের ওই আইন অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য সেনাবাহিনী এবং মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের অনুমতি দিতে পারেন। এটি সেনাবাহিনীকে যেকোনো বিদ্রোহ অথবা যেকোনো সহিংসতা সম্পূর্ণরূপে দমন করার ক্ষমতা দেয়।
এই আইন মার্কিন প্রেসিডেন্ট - মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক - কে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত (কখন-কোথায়) নেয়ার সম্পূর্ণ ক্ষমতা দেয়।
আরও পড়ুন: পেনসিলভানিয়ার গভর্নরের বাসভবনে আগুন, সন্দেহভাজন গ্রেফতার
তবে, বিদ্রোহ আইন সামরিক আইন থেকে কিছুটা আলাদা।
সামরিক আইন প্রশাসন ও রাষ্ট্রীয় বিষয় পরিচালনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ একজন সামরিক জেনারেলকে দেয় - সাধারণত প্রতিরক্ষা প্রধান বা সেনাপ্রধানকে।
অপরদিকে, বিদ্রোহ আইন রাষ্ট্র ও প্রশাসনের ক্ষমতা মার্কিন প্রেসিডেন্টের হাতে থাকে, যিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সামরিক ক্ষমতা ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: ইরানের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প
ভিন্নভাবে বলতে গেলে, সামরিক আইন জরুরি পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনীকে বেসামরিক সরকারের ভূমিকা গ্রহণের অনুমতি দেয়। তবে বিদ্রোহ আইন সামরিক বাহিনীকে কেবল বেসামরিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করার অনুমতি দেয়; তাদের স্থান গ্রহণ করার নয়।
সূত্র: এনডিটিভি
]]>