যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত চীনা পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হলো

১ মাস আগে
চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের  নতুন শুল্ক মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে। চীন প্রতিক্রিয়া হিসাবে দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির উপর শুল্ক ঘোষণা করেছে। চীন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা এবং তরল প্রাকৃতিক গ্যাসে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে তারা। পাশাপাশি অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং অটোমোবাইলের কিছু অংশের উপর  শতকরা ১০ ভাগ  শুল্ক  বসাবে।  চীনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে ট্রাম্প এই শুল্ক আরোপ করেন।  চীন যেন ফেন্টানল পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নেয় সেটাই যুক্তরাষ্ট্রের এই চাপ প্রয়োগের কারণ। মেক্সিকোর মাদক চক্রগুলো ফেন্টানল তৈরি করতে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করে তার প্রধান উৎস চীন বলে যুক্তরাষ্ট্র জেনেছে। চীন জানিয়েছে, তারা এই শিল্প এবং অবৈধ মাদক ব্যবসা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে।্রর ট্রাম্প বলেন, “আশা করছি চীন আমাদের ফেন্টানল পাঠানো বন্ধ করবে। আর যদি তারা তা না করে তবে এই শুল্ক আরও বাড়বে।” সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেছেন, ট্রাম্প আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। এদিকে, মেক্সিকো ও কানাডার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ব্যাপারে এক মাসের স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছে ট্রাম্প। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলার পর সোমবার এই সিদ্ধান্ত দেন তিনি।  শেইনবাউম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানলের প্রবাহ ঠেকাতে ন্যাশনাল গার্ডের ১০ হাজার সেনা পাঠাবেন তিনি। তিনি আরও বলেন, দুই দেশ নিরাপত্তা ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে  এবং “এখন থেকে এক মাসের জন্য শুল্ক স্থগিত হচ্ছে।” ফেন্টানলের প্রবাহ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্তে নতুন প্রযুক্তি ও কর্মী মোতায়েন করবে কানাডা, জানিয়েছেন ট্রুডো। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ  বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমার ফোনে ভালো কথা হয়েছে। আমাদের একত্রে এই কাজ করাকালীন আগামী ৩০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত থাকবে।” এর আগে চীনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারের প্রতিনিধিত্বকারী শেইনবাউম এবং ট্রুডো উভয়ই ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনার প্রতিবাদ করেন এবং পালটা জবাব দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। সোমবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পরিচালক কেভিন হ্যাসেট বলেছেন, শুল্ক নিয়ে সংঘর্ষকে বাণিজ্য যুদ্ধ বলা ভুল হবে। মেক্সিকো, কানাডা ও চীনের প্রতিশোধমূলক শুল্ক এবং উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি সত্ত্বেও তিনি এ কথা বলেন। রবিবার ট্রাম্প স্বীকার করেন, তিনটি বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারের ওপর নতুন এই  শুল্ক আমেরিকানদের জন্য দ্রব্য বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। মুদি সামগ্রী, জ্বালানি,  গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়তে পারে। তবে এই  উচ্চ শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় "মূল্যবান" হবে। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।
সম্পূর্ণ পড়ুন