স্থানীয় সময় মঙ্গলবার, ফের একবার ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ সালে তার প্রথম মেয়াদে ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে জো বাইডেনের আমলে যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় সদস্যপদ ফিরে পায়।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউনেস্কোতে থাকাটা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থবিরোধী। কারণ, সংস্থাটি আন্তর্জাতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে `গ্লোবালিস্ট, মতাদর্শগত এজেন্ডা’ অনুসরণ করে, যা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে যায় না।
আরও বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে ইউনেস্কো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলবিরোধী প্রচারণা উসকে দিচ্ছে। এটি মার্কিন নীতির পরিপন্থি।’
আরও পড়ুন: ওবামার বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার’ অভিযোগ ট্রাম্পের
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তে ইউনেস্কোর প্রধান অড্রে আঝুলি বলেছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে তিনি মর্মাহত। কিন্তু এটা প্রত্যাশিতই ছিল এবং ইউনেস্কোও এর জন্য প্রস্তুত ছিল বলে জানান তিনি।
তবে এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ মূলত ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনের সাংস্কৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের ওপর চালানো ধ্বংসযজ্ঞ থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা।
]]>