সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কমিটি ইরানের হুমকিকে ‘স্থায়ী’ এবং ‘অপ্রত্যাশিত’ উল্লেখ করে সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কমিটি বলছে, ২০১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে আসার পর থেকে ইরানের পারমাণবিক হুমকি বেড়েছে। ইরানের হুমকি বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে’ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে পার্লামেন্টের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কমিটি।
ইরানের সাথে সম্পর্কিত ব্রিটেনের জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ২৬০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়। ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ঘটনাবলী এই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-নেতানিয়াহু ‘আল্লাহর শত্রু’, ১০০ মুসলিম পণ্ডিতের ফতোয়া
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের শুরু থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ব্রিটিশ নাগরিক বা যুক্তরাজ্যের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৫টি হত্যা বা অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।
এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তেহরানকে কঠোরভাবে সতর্ক করার আহ্বান জানিয়েছে পার্লামেন্টের গোয়েন্দা কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান লর্ড বিমিশ বলেন, ইরান যুক্তরাজ্য, যুক্তরাজ্যের নাগরিক এবং যুক্তরাজ্যের স্বার্থের জন্য একটি বিস্তৃত, অবিরাম এবং অপ্রত্যাশিত হুমকি তৈরি করছে।
তিনি সরকারকে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা ‘আইনগতভাবে সম্ভব এবং বাস্তবসম্মত’ কিনা তা বিবেচনা করার এবং এই বিষয়ে সংসদে একটি পূর্ণাঙ্গ বিবৃতি দেয়ার সুপারিশ করেন।
আরও পড়ুন: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচির সাথে সৌদি যুবরাজের ‘ফলপ্রসূ’ বৈঠক
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিটিশ মন্ত্রীরা আইআরজিসিকে নিষিদ্ধ করার চাপের মুখে রয়েছে, কিন্তু কমিটি স্বীকার করেছে যে এই ধরনের সিদ্ধান্তের মধ্যে ‘জটিলতা’ রয়েছে।
কমিটি সতর্ক করে বলছে, যুক্তরাজ্যে ইরানি গুপ্তচরবৃত্তি বেড়েছে, তবে কমিটি রাশিয়া ও চীনের তুলনায় ইরানের হুমকির কম ঝুঁকি বলে মনে করছে।
]]>