যাত্রীর মালামাল হারানোর অভিযোগে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিলো শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ

৬ দিন আগে
আবুধাবি থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স করে আসা এক যাত্রীর মালামাল হারানোর অভিযোগে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৪ আগস্ট ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আগমনী ফ্লাইট (BS-350) এর যাত্রী মো. সোহাগ সকাল ৫টা ২০ মিনিটে আবুধাবি থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। আনুমানিক ৯টা ১৫ মিনিটে সময় তাকে আন্তর্জাতিক আগমনী টার্মিনালের ক্যানোপি-১ এলাকায় তার লাগেজ থেকে মালামাল চুরির অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, তার লাগেজ থেকে একটি পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার, একটি স্বর্ণের চেইন এবং একজোড়া কানের দুল চুরি হয়েছে।


অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোনো মালামাল হারায়নি/চুরি যায়নি। যাত্রীর ব্যাগে (কাগজের কার্টন) থাকা পাওয়ার ব্যাংক আবুধাবি বিমানবন্দরে সিকিউরিটি আইটেম হিসেবে অপসারণ করে টেপ দিয়ে সিল করে দেয়া হয়েছিল। অন্যান্য আইটেমের বিষয়ে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।


আরও পড়ুন: শাহজালালে কার্গো ও গ্রাউন্ড সেবায় রেকর্ড আয় বিমানের


উল্লেখ্য যে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিমানে স্বর্ণালঙ্কার বা মূল্যবান জিনিসপত্র চেকইন লাগেজে বহন নিরুৎসাহিত করা হয়। কিন্তু একান্তই আনতে হলে বিষয়টি অবশ্যই এয়ার লাইনস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। কিন্তু সোহাগ এয়ার লাইনস কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা ছাড়া তার চেকইন লাগেজে স্বর্ণের অলংকার নিয়ে আসেন, যা নিয়ম বহির্ভূত।


পরবর্তীতে ঘটনাটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হলে, ম্যাজিস্ট্রেট ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে যাত্রীর লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে তা মেইল আকারে এয়ারলাইন্সের আবুধাবি অফিসে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস সম্পূর্ণ ঘটনা উল্লেখ করে আবুধাবি বিমানবন্দরে একটি মেইল পাঠায় যার উত্তর এখনও অপেক্ষমাণ।


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নিরাপত্তা, সেবার মান এবং অভিযোগের দ্রুত সমাধান নিশ্চিত করতে সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন