মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে উপজেলার নওয়াপাড়া নদীবন্দরের রাজঘাট এলাকায় নোয়াপাড়া গ্রুপের নিজস্ব ঘাট-৪ সংলগ্ন ভৈরব নদে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী এমভি কিবলাতাইন-২ জাহাজের মাস্টার এমরান হোসেন বলেন, নোয়াপাড়া গ্রুপের নিজস্ব ঘাট-৪ এ আমার জাহাজ নোঙর করা ছিল। মঙ্গলবার সকাল ৬ টার দিকে খুলনাগামী এমভি জনি সাইফুল-২ জাহাজের সঙ্গে বালুবাহী খোয়াজ ব্যাপারী-৪ বাল্কহেডের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অল্প সময়ের মধ্যে বাল্কহেডটি নদীর মাঝামাঝি স্থানে ডুবে যায়। পরে জনি সাইফুল জাহাজটি খুলনার দিকে চলে যায়।
আরও পড়ুন: যশোরে ১৩ পরিবারে অগ্নিসংযোগ: পরিদর্শনে ঢাকার প্রতিনিধি দল
ক্ষতিগ্রস্ত খোয়াজ ব্যাপারী-৪ বাল্কহেডের মাস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভোরে নড়াইল জেলার বড়দিয়া থেকে ১৬ হাজার ৪০০ ফুট বিট বালু লোড করে অভয়নগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। সকাল ৬ টার দিকে রাজঘাট এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা এমভি জনি সাইফুল-২ জাহাজের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাল্কহেডের সামনে অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া বালুর মূল্য প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। প্রাণ বাঁচাতে বাল্কহেডে থাকা আমরা ৫ জন সাঁতরে নোয়াপাড়া গ্রুপের ঘাটে উঠি।’
এ ব্যাপারে খুলনা বিআইডব্লিউটিএ'র যুগ্ম পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধার করাসহ নৌপথে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’