‘যদি শিডিউল কেনেন তাহলে ঠ্যাং ভেঙে বগুড়ায় পাঠিয়ে দেবো’

৩ দিন আগে
নাটোরের পল্লী বিদ্যুতের দরপত্র কিনতে ঠিকাদারকে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৯ জুন) দুপুরে নাটোরের ফুলবাগান এলাকায় অবস্থিত নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কার্যালয়ে বহিরাগত ও ঠিকাদার পরিচয়দানকারী লোকজন হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যদি শিডিউল কেনেন তাহলে ঠ্যাং ভেঙে বগুড়ায় পাঠিয়ে দেবো।’

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ আওতায় ডিপোজিট ওয়ার্ক এবং মেইনটেনেন্স ওয়ার্ক প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ টাকা করে সাতটি প্যাকেজে ৩৫ লাখ টাকার কাজের দরপত্র বিক্রি চলছিলো। আগামীকাল সোমবার (৩০ জুন) দরপত্র জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারিত আছে।


বগুড়া থেকে আসা মিজানুর রহমান নামে ভুক্তভোগী ওই ঠিকাদার বলেন, ‘আজ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর একটি কাজের দরপত্র কেনার শেষ দিন ছিল। সকালে বগুড়া থেকে রওনা হই দরপত্র (টেন্ডার) ক্রয় করার জন্য। বেলা ১২টার দিকে দরপত্র কিনতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মূল ভবনের কাছে গেলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা বেশ কয়েকজন বহিরাগত ও ঠিকাদার পরিচয়দানকারী লোকজন আমাকে সাইডে ডাক দিয়ে বলেন, ‘এখানে শিডিউল কেনা যাবে না, নিষেধ আছে। যদি শিডিউল কিনেন তাহলে ঠ্যাং ভেঙে বগুড়ায় পাঠিয়ে দেবো। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’


আরও পড়ুন: কাজ না করেই ২৫ লাখ টাকা গায়েবের অভিযোগ


এ দিকে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সদস্যরা। তাদের আসার খবরে দ্রুতই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন দুর্বৃত্তরা।


তবে অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তারা শুধু ঠিকাদারকে বাইরে আসতে বলেছেন। তবে বাধাদানকারীরা তাদের পরিচয় না দিয়ে পালিয়ে যান।


নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার (চলতি দায়িত্ব) মো. ফখরুল আলম বলেন, ‘এক ঠিকাদার বলছেন, যে তাকে দরপত্র কিনতে বাধা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে আমি নিজে এসেছি এবং এখানে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসেছে। পরে তিনি সঠিকভাবে দরপত্র কিনতে পেরেছেন।’
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন