সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, বিদেশি খেলোয়াড়রা যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে চান। নিরাপত্তার কারণে বৃহস্পতিবার (৮ মে) মাঝ পথেই দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচটি পরিত্যক্ত করা হয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই খবর আসে, ভারত ছাড়তে চান বিদেশি ক্রিকেটাররা।
বর্তমানে আইপিএলের সাথে অনেক বিদেশি ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ সদস্য, ম্যাচ অফিসিয়াল এবং ব্রডকাস্ট যুক্ত আছেন। বৃহস্পতিবার যে ম্যাচটি স্থগিত হয়েছিল, সে ম্যাচে খেলছিলেন ৮ জন বিদেশি ক্রিকেটার। তাছাড়া দুদলের স্কোয়াডেও ছিলেন বেশ কয়েক জন বিদেশি।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: আইপিএল সাময়িক স্থগিত
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, এরই মধ্যে আইপিএলের দলগুলো ভাঙতে শুরু করেছে। বিদেশি খেলোয়াড়রা যেকোনো সম্ভাব্য পরবর্তী ফ্লাইটে ভারত ছাড়তে চান। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশ দুটির ক্রিকেটাররা দ্রুত দেশে ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ নিরাপত্তার কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে খেলোয়াড়দের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, বিদেশি খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে আইপিএলের একটি দলের একজন কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা মোটামুটি ভালোই আছেন। কিন্তু যা কিছু ঘটেছে, তা দেখে তাদের মধ্যে অবশ্যই উদ্বেগ রয়েছে।’
আরও পড়ুন: আইপিএল চলাকালে ভারতে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর, ম্যাচ পরিত্যক্ত
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, আইপিএল খেলতে অস্ট্রেলিয়া থেকে যেসব ক্রিকেটাররা ভারতে আছেন, তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৯ মে) সকালে এ নিয়ে মেলবোর্নে বৈঠক করেছেন সিএ চেয়ারম্যান মাইক বেয়ার্ড ও প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ।
দ্য টেলিগ্রাফের খবর, আইপিএলে থাকা ইংল্যান্ডের ১০ জন ক্রিকেটার দ্রুত ভারত ছাড়ার চেষ্টা করছেন। তারা এখন যত দ্রুত সম্ভব ইংল্যান্ডে ফেরার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এছাড়া ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।
]]>