ম্যাটস শিক্ষার্থীদের লংমার্চে সাউন্ড গ্রেনেড-লাঠিচার্জ

১ মাস আগে
সাত দিন পর আবারও সড়কে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল— ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। প্রতিশ্রুতির পরও দাবি মেনে না নেয়ায় লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি পালন করেন তারা। এরমধ্যেই রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিনিধি জানান, কালই দেয়া হবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। তবে এতেও আশ্বস্ত নন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে যান শিক্ষার্থীরা। ব্যারিকেড সরিয়ে শিক্ষা ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে লাঠিচার্জের পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ করে পুলিশ।


সারাদিন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির শেষটা হলো সাউন্ড গ্রেনেড আর পুলিশের লাঠিচার্জে। এর আগে, রোববার বেলা ১১টা থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে না যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।


আন্দোলনকারীরা জানান, গত ৩ মাস ধরে তাদেরকে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। এবার আর আশ্বাস মানবেন না তারা। তারা রাজপথে থেকে দাবি আদায় করে তবেই বাড়ি ফিরতে চান।


ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিশ্রুতি দিয়েও মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদফতর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় কর্মসূচি পালনে বাধ্য হচ্ছেন তারা।


আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করলেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা


এদিন, দুপুরে শাহবাগ আসেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারী তুহিন ফারাবি। শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কাজ চলছে জানিয়ে বলেন, ‘সোমবারই দেয়া হবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি।’


তুহিন ফারাবি বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছর ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ আছে, একদিনেই চাইলে এটা সঙ্গে সঙ্গে চালু করা যাবে না। এরইমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আগামীকাল বা পরশু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সব প্রসিডিউর শেষ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’


তবে এতে আশ্বস্ত হননি শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয় অভিমুখে যান। শিক্ষা ভবনের সামনে ব্যারিকেড সরিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে লাঠিচার্জের পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ করে পুলিশ। এতে মুহূর্তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।


এর আগে, গত ২২ জানুয়ারি চার দফা দাবিতে শাহবাগে গণজমায়েত করে ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ। সেসময় ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দাবি পূরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য সচিব।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন