মোহাম্মদপুরে থামছেই না কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য

১ সপ্তাহে আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে থামছেই না কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। এবার জাফরাবাদ এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে একই পরিবারের সাতজনকে কুপিয়ে যখম করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, পাটালি গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে তর্কে জড়ালে এই নৃশংসতা চালায় তারা। গুরুতর আহত চারজনের মধ্যে একজন আছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে। জড়িতদের ধরতে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


ঘটনা বুধবার (১৪ মে) গভীর রাতের। জাফরাবাদ এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি করা দুই যুবককে দেখে এগিয়ে যান স্থানীয় যুবক রাব্বি। কারণ জানতে চাইলে চাপাতি নিয়ে হামলে পড়ে ১২ থেকে ১৫ জন। হাসপাতালের বেডে শুয়ে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন রাব্বি।


তিনি বলেন, আমাদের গলিতে প্রায়ই ছিনতাই হয়, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করার পর তারা আমাকে ধাপ্পড় মারে। চিৎকার করলে আমার পরিবারের সদস্যরা আসে। পরে তাদের আরও কয়েকজন এসে সবাইকে কুপিয়েছে।

 

আরও পড়ুন: কিশোর অপরাধ দমাতে পদক্ষেপ কী?


ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে যান রাব্বির বাবা। তাকেও জখম করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে গেলে গুরুতর আহত হন রাব্বির ভাই, তিন চাচাতো ভাই ও ফুফু ।


রাব্বির বাবা আবুল কাশেম বলেন, বড় বড় ছুরি দিয়ে কুপিয়েছে। কোপ দেয়ার পরে আমার হাত ঝুলে গেছে।


রাব্বির চাচাতো ভাই আফজাল হোসেন খান বলেন, সবার হাতে ধারাল চাপাতি ছিল। যে বের হয়েছে তাকেই এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে।
রাব্বির আরেক চাচাতো ভাই রিপনের দাবি, হামলাকারীরা পাটালি গ্রুপের সদস্য।


তিনি বলেন, পাটালি গ্রুপের যে মেইন নেতৃত্ব দেয় পাটালি হাসান আর আলমগীর। এই এলাকায় যত ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি হয় তারাই করে।

 

আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাংয়ের শেল্টার দিচ্ছেন আওয়ামী কাউন্সিলররা, অস্থিতিশীল করছে মোহাম্মদপুর


এদিকে অপরাধীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, আমরা অলরেডি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। যারা ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করেছি। তাদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।


মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে থাকে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এতে আতঙ্কিত এলাকাবাসী।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন