মোহরের মূল উদ্দেশ্য, নারীকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া। যখন কোনো পুরুষ স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে আসবে, তখন তাকে মর্যাদার সঙ্গে আনবে। এমন কিছু উপহার দেবে, যা তার মর্যাদা বাড়ায়। মোহর এতো অল্প নির্ধারণ না করা যাতে মর্যাদার কোনো ইঙ্গিত না থাকে। আবার এতো অধিকও নির্ধারণ না করা, যা পরিশোধ করা স্বামীর পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের কোনো সম্পর্ক নেই। কন্যা পক্ষ ধারণা করেন, উচ্চ মূ্ল্যের মোহর ধার্য করা; যাতে ছেলের পরিবার সে টাকা কখনো দিতে না পারে। তাহলে মেয়েও সুখে থাকবে। কখনো বিয়ে বিচ্ছেদ হবে না।
মোহর সম্পূর্ণ নারীর অধিকার। এ অধিকার খর্ব করা যাবে না। মহান আল্লাহ বলেন,
وَ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ الۡمُؤۡمِنٰتِ وَ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ اِذَاۤ اٰتَیۡتُمُوۡهُنَّ اُجُوۡرَهُنَّ مُحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ وَ لَا مُتَّخِذِیۡۤ اَخۡدَانٍ
আর মুমিন সচ্চরিত্রা নারী ও তোমাদের আগে যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে তাদের সচ্চরিত্রা নারীদেরকে তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো। যদি তোমরা তাদের মোহর প্রদান করো বিয়ের জন্য, প্রকাশ্য ব্যভিচার বা গোপন প্রণয়িনী গ্রহণকারী হিসেবে নয়। (সুরা মায়েদা. আয়াত : ৫)
আরও পড়ুন:পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর পড়ার দোয়া
মোহরের সর্বোচ্চ পরিমাণ
কেউ চাইলে স্ত্রীকে মোটা অঙ্কের মোহর দিতে পারবেন মহান আল্লাহ বলেন,
لِیُنۡفِقۡ ذُوۡ سَعَۃٍ مِّنۡ سَعَتِهٖ ؕ وَ مَنۡ قُدِرَ عَلَیۡهِ رِزۡقُهٗ فَلۡیُنۡفِقۡ مِمَّاۤ اٰتٰىهُ اللّٰهُ
বিত্তবান নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করবে এবং যার জীবন-জীবিকা সীমিত, আল্লাহ যা দান করেছেন সে তা থেকে ব্যয় করবে...। (সুরা তালাক, আয়াত : ৭)
আরও পড়ুন: গাজার ক্ষুধার্ত শিশুদের নিয়ে আবেগঘন পোস্টে যা বললেন আহমাদুল্লাহ
মোহরের সর্বোচ্চ পরিমাণ নির্দিষ্ট নয়। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী নির্ধারণ করবে। তবে মোহর নির্ধারণে নারীর সম্মান ও মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। পাশাপাশি পুরুষের আর্থিক সঙ্গতির দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অনেক জায়গায় দেখা যায়, মোহর নির্ধারণে পুরুষের অবস্থার প্রতি লক্ষ্য করা হয় না। পুরুষের সামর্থ্যের বাইরে আকাশচুম্বী মোহর ধার্য করা হয়। যা কস্মিনকালেও যৌক্তিক নয়। ইসলামি শরিয়তের মেজাজের বিপরীত।
]]>