বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে ছেঙ্গারচর পৌরসভার কলাকান্দা রোডের একটি ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সাব্বিরের বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার বারোআনি শিকদার বাড়ি। সে জহির শিকদার ও রেশমা আক্তারের ছেলে। সাব্বির প্লাম্বার মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতো।
আরও পড়ুন: ‘আমি জাহান্নামি, মরার কারণ পান্না’ চিরকুট লিখে প্রাণ দিলো স্কুলছাত্রী
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির কয়েকদিন ধরে পরিবারের কাছে মোবাইল ফোন কিনে দেয়ার জন্য আবেদন করছিল। বয়স কম থাকায় পরিবার ফোনটি কিনে দেয়নি। এ নিয়ে সে দুই দিন ধরে খাবারও খায়নি।
বুধবার সন্ধ্যায় মা রেশমা আক্তার তাকে শাসন করলে সাব্বির নিজের রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় মা ভেঙে দরজা খুললে সাব্বিরকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তাকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, ‘সামান্য মোবাইল ফোনের জন্য কিশোরের আত্মহত্যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পারিবারিক অভিমান থেকেই সাব্বির এমন করেছিল। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি সবাইকে অনুরোধ, সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য ও আবেগের দিকে বেশি সচেতন হোন।’
একটু নজর দিন
আপনি যদি কখনো মনে করেন, জীবন অসহনীয় হয়ে উঠছে, জেনে রাখুন— আপনি একা নন। সাহায্য চাওয়া দুর্বলতা নয়, বরং সাহসের কাজ। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন। যেটা এখন মনে হচ্ছে, তা সাময়িক— সময়, সহায়তা ও কথা বলার মাধ্যমে অনেক কিছু পরিবর্তন সম্ভব। জীবন মূল্যবান এবং এখনও অনেক সুন্দর মুহূর্ত বাকি আছে।
আপনি যদি মানসিক চাপে বা আত্মহত্যার চিন্তায় ভুগে থাকেন, অনুগ্রহ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কাউন্সেলর বা হেল্পলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সাহায্য চাইতে কখনো দ্বিধা করবেন না।
এ বিষয়ে জরুরি পরামর্শ দেয় ‘কান পেতে রই’। হেল্পলাইন নম্বর: 01779-554391 এবং 01688-709966।
প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত হেল্পলাইনে কথা বলতে পারবেন যে কেউ।
]]>