সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৯ মে) পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারে সিটি গ্যাস বিতরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে শাসকদল তৃণমূলের সমালোচনা করেন তিনি।
মোদি বলেন, এই রাজ্যে পাঁচটি সঙ্কট রয়েছে। দুর্নীতি, নারীদের নিরাপত্তা, শিক্ষা ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারের গাফিলতিগুলো তুলে ধরেন তিনি।
মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মোদি আরও বলেন, ‘মুর্শিদাবাদ-মালদহে যা হয়েছে, তা বর্তমান সরকারের নির্মমতার উদাহরণ। এখানকার সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রতিবার আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এভাবে কী কোনো সরকার চলতে পারে?’
আরও পড়ুন: অপারেশন সিন্দুর এখনো শেষ হয়নি: মোদি
প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যের পরপরই এক সংবাদ সম্মেলনে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান মমতা। বলেন, ‘আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, আমার সঙ্গে সরাসরি টিভি বিতর্কে বসুন। সঙ্গে আপনার টেলিপ্রম্পটার নিয়ে আসতে পারেন।’
অপারেশন সিন্দুর নাম দেয়ার পেছনে রাজনীতি থাকার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, ‘অপারেশন সিন্দুর নামটি রাজনৈতিকভাবে দেয়া হয়েছিল। সমস্ত বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ এবং বিশ্বের কাছে পৌঁছচ্ছে এবং সেই সময়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সমস্ত রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে ঘুরছে। তারা অপারেশন বেঙ্গল করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিয়ে ধেয়ে যাচ্ছে প্রবল ঝড়!
বিজেপিকে নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের চ্যালেঞ্জ জানাই, আগামীকাল নির্বাচন ডাকুন। তিনি কীভাবে অপারেশন বেঙ্গল বলার সাহস পান? যদি তাই হয়, তাহলে আগামীকাল নির্বাচন ডাকুন, আমরা প্রস্তুত।’
পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আক্রমণের জবাব হিসেবে মমতা আরও বলেন, ‘আগে নিজের দোষ দেখুন। আপনাদের দুর্নীতি অনেক বেশি। কোনো কিছুতে দুর্নীতি ধরা পড়লে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হয়। কিন্তু যখন আপনার গুজরাটে, মধ্যপ্রদেশে পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য কেউ ধরা পড়েন, তখন আপনারা কী করেন?’
]]>