বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের (সদস্য অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন জানান, চলতি অর্থ বছরে মোংলা বন্দরে মোট ৮৩০টি দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ এসেছে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০০টি। পণ্য আমদানি-রফতানিতে (কার্গো হ্যান্ডলিং) লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮.৮০ লাখ মেট্রিক টন, কিন্তু বাস্তবে হ্যান্ডলিং হয়েছে ১০৪.১২ লাখ মেট্রিক টন। এছাড়া কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২১,৪৫৬ টিইইউজ (TEUs), যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার টিইইউজ ছাড়িয়ে গেছে।
গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে মোট ১১ হাজার ৫৭৯টি ইউনিট গাড়ি মোংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি হয়েছে।
কাজী আবেদ হোসেন আরও জানান, মোংলা বন্দরের বার্ষিক জাহাজ হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ১ হাজার ৫০০টি, কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ১.৫ কোটি মেট্রিক টন, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ১ লাখ টিইইউজ এবং গাড়ি হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ২০ হাজার ইউনিট।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে তিন দিনে দুই জাহাজের ৩৩১৯ টন পণ্য খালাস
তিনি বলেন, ‘মোংলা বন্দরের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো পশুর চ্যানেলের ১৪৪ কিলোমিটার এলাকায় ক্যাপিটাল ও সংরক্ষণ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা বজায় রাখা এবং নিরাপদ, দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। বন্দর উন্নয়নের অংশ হিসেবে পুরনো জলযান প্রতিস্থাপন, নতুন জলযান সংগ্রহ ও মেরামত সুবিধা গড়ে তোলার কাজ চলছে। একই সঙ্গে দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবল গঠনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (বোর্ড) কালাচাঁদ সিংহ, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান, প্রধান হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার রাসেল আহমেদ খান, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কমান্ডার এস.এম. আবজালুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান এবং উপ-প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে সদস্য (অর্থ) যুগ্ম সচিব বলেন, ‘মোংলা বন্দর আজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা এবং রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমানের নেতৃত্বে এই বন্দর দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি জানান, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নতুন ধরনের পণ্য হ্যান্ডলিং সুবিধা দেয়ার লক্ষে ৬টি জেটি নির্মাণ ও ‘ইনারবার ড্রেজিং— এই দুটি উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত শুরু করতে চায় কর্তৃপক্ষ। প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত হবে বন্দরটি।