মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রাম। এই গ্রামের দুই বিঘা জমিতে ২ বছর আগে ৭৭ টি জাপানি মিয়াজাকি জাতের আম গাছ লাগিয়েছেন মির্জা গালিব। পেয়েছেন ফলও। যার কেজিপ্রতি দাম ৩ লাখ টাকা পর্যন্তও হয়ে থাকে।
বাগানি মির্জা গালিব উজ্জ্বল বলেন, বছর দশেক আগে জাপান প্রবাসী বেণু খাতুনের কাছ থেকে এই আম সম্পর্কে জানতে পারি। তখনই দেশে এই জাতের আম ফলানোর পরিকল্পনা করি।
দুই বছর আগে নাটোর থেকে ৭৭ টি মিয়াজাকি জাতের আম গাছ কিনে রোপণ করেন মেহেরপুর শহরের বাসিন্দা বাগান মালিক মির্জা গালিব উজ্জ্বল। তিনি বলেন, সার্বিক পরিচর্যায় কোনো ত্রুটি রাখিনি। গাছ লাগানো থেকে ফল আসা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২ লাখ টাকা। অবশেষে চলতি বছর ফল দিয়েছে ৪৫ টি গাছে।
আরও পড়ুন: ‘ঢলন’ পদ্ধতিতে আম বিক্রি, লোকসানে মেহেরপুরের চাষিরা
এ জাতের আম উৎপাদনে তেমন কোনো রোগ বালাই নেই বলেও জানান উজ্জ্বল। তিনি বলেন, আমি দেশের মানুষকে ঔষধি গুণসম্পন্ন এই জাতের আম দিতে চাই। চলতি বছর ফল বিক্রি করব না। আগামী বছর থেকে সুপারশপগুলোতে এই আম বিক্রির জন্য দেয়ার ইচ্ছা আছে। সামনে বাগানের পরিধি আরও বড়ো করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে নতুন জাতের খয়েরি রঙের এই আম দেখতে বাগানে উপস্থিত হচ্ছেন এলাকাবাসী ও অন্যান্য বাগান মালিকরা। এ ধরনের আম এর আগে দেখেননি তারা। উজ্জলের বাগানে আমের ফলন ভালো হওয়ায় বাগান তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন আগতরা ।
এ ধরনের উচ্চমূল্যের নতুন জাতের আমের বাগান তৈরিতে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সামসুল আলম বলেন, এ জাতের আমটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন। ডায়াবেটিস, ক্যান্সার প্রতিরোধী ও হজম শক্তি বৃদ্ধিসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই জাতের আম খুবই কার্যকর। উজ্জ্বলসহ উচ্চ মূল্যের এই ধরনের ফল আবাদে জেলার অন্যান্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, মেহেরপুর জেলায় নানা জাতের ২ হাজর ৩৬৬ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে।
]]>