মেয়েরা চুড়ি, নাকফুল না পরলে কি স্বামীর হায়াত কমে যায়?

৩ দিন আগে
আমাদের সমাজে কুসংস্কারের প্রচলন বেশ। যেসব কাজের ভিত্তি শরিয়তে পাওয়া যায় না, অথচ প্রথা ও রেওয়াজের ওপর ভিত্তি করে করা হয় তাকে কুসংস্কার বলা হয়। ইসলামি শরিয়তের আলোকে কুসংস্কার পরিহার করা আবশ্যক। এটি সমাজ ও সভ্যতার জন্য মারাত্মক ব্যাধি।

অনেকে জানতে চান, মেয়েরা চুড়ি, নাকফুল না পরলে কি স্বামীর হায়াত কমে যাবে?

 

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, বিয়ের পর স্ত্রী চুড়ি বা নাকফুল না পরলে স্বামীর হায়াত কমে যায়; এটি একেবারেই মনগড়া ও ভিত্তিহীন একটি ধারণা। একটি কুসংস্কার; এগুলো বিশ্বাস করা যাবে না।

 

মহান আল্লাহ সমস্ত মানুষের হায়াত নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। সে সময়ের পূর্বে বা পরে কারো মৃত্যু হবে না। তাই ঐ সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা পরিত্যাগ করা অপরিহার্য। (আদ-দুররুল মুখতার মাআ শামি- ৯/৬০২, ফাতওয়া হিন্দিয়া- ৫/৩৫৭)

 

আরও পড়ুন: মোহরের সর্বোচ্চ পরিমাণ কত টাকা?

 

অলংকার পরিধানের জন্য নারীদের নাক-কান ফোঁড়ানো জায়েজ। নারী সাহাবিরা কানে অলংকার পরিধান করতেন বলে বর্ণিত রয়েছে।

 

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঈদের দিন বের হলেন এবং দুই রাকাত নামাজ পড়লেন। আগে-পরে কোনো নামাজ পড়লেন না। অতঃপর বেলালকে (রা.) সঙ্গে নিয়ে নারীদের কাছে গেলেন। তাদেরকে উপদেশবাণী শোনালেন এবং সদকা করার নির্দেশ দিলেন। তখন নারীরা তাদের কানের দুল এবং হাতের কঙ্কণ খুলে দিতে লাগলেন। (সহিহ বুখারি: ১৪৩১)

 

আরও পড়ুন: দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়ার ৩ আমল

 

এ হাদিস থেকে নারীদের নাক ফোঁড়ানোর ব্যাপারে নবিজির (সা.) অনুমোদন ও তা জায়েজ হওয়ার বিষয়টি বোঝা যায়।

 

কোনো হাদিসে নাক-কান ফোঁড়ানোর ব্যাপারে নবিজির (সা.) নিষেধাজ্ঞা বা উৎসাহ পাওয়া যায় না। কেউ চাইলে নাক-কান ফোঁড়াতে পারে, কেউ চাইলে শুধু কান বা শুধু নাক ফোঁড়াতে পারে অথবা নাক-কান ফোঁড়ানো থেকে বিরতও থাকতে পারে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন