মেঘনায় নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর শাশুড়ি-পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার

৩ সপ্তাহ আগে
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ফেরি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মেঘনা নদীতে ডুবে নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (৭ জুন) সন্ধ্যা ছয়টায় নদীর গভীর স্থান থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে এদিন ভোরে চার যাত্রীসহঅটোরিকশাটি বিশনন্দী ফেরিঘাট থেকে মেঘনা নদীতে ডুবে তলিয়ে যায়।


মৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুলবাগ এলাকার খালেদা বেগম (৪০) ও তার পুত্রবধূ ফারজানা বেগম (১৯)। তারা রাজধানির যাত্রাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।


স্থানীয়দের অভিযোগ, ফেরিতে কোনো রেলিং বা সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।


স্বজনরা জানান, ঈদের দিন ভোরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে খালেদা বেগম তার দুই ছেলে কামাল হোসেন, সাগর হোসেন এবং পুত্রবধূ ফারজানাকে নিয়ে অটোরিকশায় চড়ে গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুলবাগ এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অটোরিকশাটি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ফেরিতে ওঠার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে ডুবে যায়।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে দোকানে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ

এসময় দুই ভাই কামাল ও সাগর তীরে উঠতে পারলেও তাদের মা খালেদা বেগম ও সাগরের স্ত্রী ফারজানা বেগম নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ তেরো ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ছয়টায় নদীর গভীর স্থান থেকে খালেদা বেগম ও তার পুত্রবধূ ফারজানার মরদেহ উদ্ধার হয়।


ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের ধারণা, তারা দুজন ডুবে যাওয়া সিএনজি অটো রিকশাটির ভেতরে আটকে পড়ে ছিলেন।


আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ রবিউল হাসান বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে আসছিলাম। ঢাকার ডুবুরি দলের সহায়তায় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সিএনজিসহ নিখোঁজ দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা সিএনজির ভেতরেই আটকে ছিলেন।’


আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সকাল থেকে খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে এর ভেতর থেকে পাওয়া যায় নিখোঁজ দুই নারীর মরদেহ।’


খবর পেয়ে বিশনন্দী ফেরিঘাটে যান আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাত হোসেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই দুর্ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। ফেরিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারো গাফিলতি থাকলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন