সোমবার (২ জুন) বিকেল ৫টার দিকে তার মরদেহ ভেসে ওঠে নোয়াখালীর চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের পার্শ্ববর্তী করিমবাজার ঘাটের দক্ষিণের চরে। এরপর সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিখোঁজ পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের গোপাল বাড়ির মো. সিরাজুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ৩৯ যাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবি
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে চরের সঙ্গে মেঘনা নদীর কিনারে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে ছবি উঠিয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ সদস্যরা মোবাইল ফোনের পেছনে লেখা নাম ঠিকানা দেখে সাইফুলের পরিচয় নিশ্চিত করেন।
এ দিকে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চরশাহী গ্রামে সাইফুলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাইফুলের এমন মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি: দুজনের মরদেহ উদ্ধার, পুলিশ সদস্যসহ নিখোঁজ ৩
জানা যায়, গত শনিবার (৩১ মে) দুপুর ৩টার দিকে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে মোট ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে গিয়াস উদ্দিন এবং রামগতি থেকে রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম।
তিনি বলেন, নায়েক সাইফুল ইসলামের নিখোঁজের সংবাদ পাওয়ার পর থেকে সাইফুলের বাড়িতে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি। সাইফুলের মৃতদেহ শনাক্তের খবর পাওয়ার পর আমাদের পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।