রোববার (২৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ৮টি। এর মধ্যে রয়েছে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক, ৪টি বেসরকারি ব্যাংক ও ৩টি বিদেশি ব্যাংক।
আরও পড়ুন: প্রবাসী আয়ে সুবাতাস, ৩ হাজার কোটি ডলারের হাতছানি
মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে বিশেষায়িত খাতের রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব ও বেসরকারি খাতের কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, সিটিজেন্স ব্যাংক পিএলসি, পদ্মা ব্যাংক পিএলসি ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
এ ছাড়া কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও।
এদিকে, মে মাসে প্রথম ২৪ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৬ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২০ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩৭ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ ঘিরে দেশে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীর বাংলাদেশিরা। এতে হাওয়া লেগেছে রেমিট্যান্সের পালে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত দেশে এসেছে ৬৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ১১ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত দেশে এসেছে ৭০ কোটি ৬৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ৪ থেকে ১০ মে দেশে এসেছে ৮১ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। আর মাসের প্রথম ৩ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৮ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
এদিকে, গত মার্চে দেশে এসেছে ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা দেশের ইতিহাসে যে কোনো এক মাসের সর্বোচ্চ। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা। গত এপ্রিলে এসেছে ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ ডলার। যা দেশের ইতিহাসে কোনো এক মাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
আর গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার।