মাঝমাঠে ২০১২ সাল থেকে রিয়াল মাদ্রিদের নির্ভরতার প্রতীক লুকা মদ্রিচ। বয়স হয়ে গেছে ৩৯। এখনও চিরতরুণ লুকা। ক্লাব ক্যারিয়ারে রিয়াল মাদ্রিদ যেন মিশে আছে তার অস্তিত্বের সঙ্গে। জাতীয় দলে ক্রোয়েশিয়ার সোনালী যুগের সেনা তিনি। ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার পেছনে বড় অবদান তার।
মাঠের দায়িত্ববান মদ্রিচের আরও একটি পরিচয় আছে। মাঠের নানা সামাজিক কাজেও সব সময় যুক্ত থাকেন লুকা। এবার মানবিকতার আরও একটি নজির গড়লেন লুকা। এ বছরের শুরুর দিকে মাথায় মারাত্মক আঘাত পান দেশটির তরুণ ফুটবলার ইভান স্কেপিনা। ক্রোয়েশিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব এনকে কুরিলোভিচেরু গুরত্বপূর্ণ সদস্য মাথায় আঘাত পেলেও নিজের অদম্য চেষ্টায় মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসেন।
আরও পড়ুন: ভিনিসিউসের চোট, মিস করবেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একাধিক ম্যাচ
ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন ইভান। তার মন পড়ে আছে ফুটবল মাঠে। এখনও চলতে পারেননি। হাত-পা এখনও ঠিকমতো কাজ করে না। কিন্তু ইভান স্বপ্ন দেখেন আবারও ফুটবল মাঠে দাপিয়ে বেড়ানোর। ইভানের স্বপ্নকে আলোর মুখ দেখাতে এগিয়ে এলেন মদ্রিচ।
২০১৮ সালে মর্যাদার ব্যালন ডি'অর পুরস্কার জয় করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক। সে ট্রফি পাঠান ইভানের কাছে। মদ্রিচের জয় করা ব্যালন ডি'অর ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ করে দেয়া হয় ইভানকে। মাঠের ইভান যেন আবার নিজেকে ফিরে সংগ্রামে জয়ী হতে পারেন, সে চেষ্টাই করেন মদ্রিচ। প্রিয় অধিনায়কের কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ইভান।
মারাত্মক আঘাত থেকে ইভান যাতে আবারও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পান ফুটবল মাঠে পায়ের যাদু দেখাতে পারেন এমনটাই চাওয়া মদ্রিচের। ব্যালন ডি'অর ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি মদ্রিচের অটোগ্রাফ সহ জার্সি ও তার খেলা একটা বলও উপহার হিসেবে পাঠান তিনি।
সে ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন ফুটবল বিষয়ক জনপ্রিয় সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। দেশের একজন তরুণ ফুটবলারের জন্য এমন উপহার দেয়ার ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থকদের প্রশংসায় ভাসছেন মদ্রিচ।