মুহাম্মদ ইউনূসঃ সংস্কারের পরই নির্বাচন আয়োজন করা হবে

২ সপ্তাহ আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে রবিবার (১৭ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, অব্যাহত রাজনৈতিক সংকট থেকে “দেশকে রক্ষা” করতে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কার অপরিহার্য। অত্যাবশ্যকীয় কিছু সংস্কার কাজ শেষ করেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। “নির্বাচন আয়োজনে যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় রাজনৈতিক দল এবং দেশের সব মানুষের মতামত অপরিহার্য, সেটি হচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই কমিশনের সুপারিশমালার যে অংশ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, তার ভিত্তিতে নির্বাচনি আইন সংশোধন করতে হবে," তিনি বলেন। ড. মুহম্মদ ইউনূস "যুগ যুগ ধরে অনুসরণ করার মতো” নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রনয়ণ করার কথা বলেন। "আমি নিশ্চিত নই, সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের সুযোগ আমরা কতটুকু পাব। তবে কথা দিচ্ছি, আপনারা সুযোগ দিলে প্রয়োজনীয় কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার কাজ শেষ করেই আমরা কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আয়োজন করব। ততদিন পর্যন্ত আমি আপনাদের ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করব," তিনি বলেন।  "আমরা এমন একটি নির্বাচনি ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে চাই যা যুগ যুগ ধরে অনুসরণ করা হবে। এর ফলে সাংবাৎসরিক রাজনৈতিক সংকট থেকে আমাদের দেশ রক্ষা পাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সময়টুকু আমি আপনাদের কাছে চেয়ে নিচ্ছি। নির্বাচনি সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত আপনারা নির্বাচনের রোডম্যাপ পেয়ে যাবেন।" দেশকে পুনর্গঠন করতে হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "কেবল জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডই নয়, গত ১৫ বছরে সব অপকর্মের বিচার করা হবে।” “এমনকি, শেখ হাসিনাকেও ভারত থেকে ফেরত চাওয়া হবে,” তিনি বলেন। ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক সহিংসতা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, বাংলাদেশ তখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত একটা দেশ। এসময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা সহিংসতারও শিকার হয়েছেন। কিন্তু এটা নিয়ে যেসব প্রচার-প্রচারণা হয়েছে তা ছিল সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত।’ তিনি বলেন, ‘অল্প যে সমস্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর মূল কারণ ছিল রাজনৈতিক। কিন্তু এসব ঘটনাকে ধর্মীয় আবরণ দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হয়েছে।’ সবার সহযোগিতায় দৃঢ়ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছেন বলে দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। মুহাম্মদ ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মাথায় দেশের প্রায় ৩২ হাজার পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে একদিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হয় যা উৎসবের আমেজকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। দূর্গাপুজা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা তার ভাষ্যে, ‘দূর্গাপুজা ঘিরে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেই। যার ফলে, দেশের হিন্দু সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করেছে। আমরা দায়িত্বে আসার পর যে অল্প কিছু ক্ষেত্রে তারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন, আমরা তার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করছি।’ শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ই নয়, দেশের কোনো মানুষই যাতে কোনো রকম সহিংসতার শিকার না হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে এবং সবসময় তা করে যাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। মুহাম্মদ ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসের মাথায় দেশের প্রায় ৩২ হাজার পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে একদিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা করা হয় যা উৎসবের আমেজকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তার ভাষ্যে, ‘দূর্গাপুজা ঘিরে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি নেই। যার ফলে, দেশের হিন্দু সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে তাদের উৎসব পালন করেছে। আমরা দায়িত্বে আসার পর যে অল্প কিছু ক্ষেত্রে তারা সহিংসতার শিকার হয়েছেন, আমরা তার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করছি।’ শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ই নয়, দেশের কোনো মানুষই যাতে কোনো রকম সহিংসতার শিকার না হয়, সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে এবং সবসময় তা করে যাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
সম্পূর্ণ পড়ুন