শনিবার (১০ মে) তেহরানে দেয়া এক বক্তব্যে গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ইসরাইল ও পশ্চিমা বিশ্বকে দায়ী করেন খামেনি।
খাদ্য সংকটকে সামনে এনে মুসলিম দেশগুলোর প্রতি নতুন করে দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মাসের পর মাস ধরে চলা অবরোধ ও সামরিক অভিযানে বিপর্যস্ত গাজার জনজীবন।
ইরান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রত্যক্ষ মদতেই সংকট আরও গভীর হয়েছে। মার্চে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল। গাজায় এখন যুদ্ধের পাশাপাশি খাদ্য ও ওষুধের চরম সংকট বিরাজ করছে। এ অবস্থায় ইসরাইল ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গঠনের আহ্বান জানান খামেনি।
আরও পড়ুন: গাজায় ১ লাখ টন বোমা ফেলেছে ইসরাইল
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি নতুন ত্রাণ ব্যবস্থাপনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, যা বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। তবে এ উদ্যোগকে 'ইসরাইলি কৌশলে ত্রাণকে সামরিকীকরণ' বলে অভিহিত করেছে হামাস। কার্যকর সমাধানের পরিবর্তে এটিকে নতুন চক্রান্ত বলছে গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
এদিকে ইসরাইলের অবরোধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা। খাদ্য, পানি ও ওষুধের ঘাটতিতে ২৩ লাখ মানুষ প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে পরাজিত। এক মাসের বেশি সময় ধরে ইসরাইলের অবরোধে কার্যত বন্ধ খাদ্য সরবরাহ।
আরও পড়ুন: গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়ার আহ্বান মার্কিন আইনপ্রণেতাদের
ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হেপাটাইটিস ও ইমিউন রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। বিবিসিকে এক ফিলিস্তিনি বাবা জানান, ডায়াবেটিস আক্রান্ত সন্তানের জন্য ইন্সুলিন খুঁজতে গাজার উত্তর প্রান্তে দিনের পর দিন ঘুরছেন তিনি।
এরমধ্যেই, শনিবার ইসরাইলি হামলায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। দেইর আল বালাহ ও গাজা সিটির সাবরা এলাকায় তাঁবুতে থাকা পরিবারগুলোর উপর চালানো হয় বিমান হামলা।রাফাহ ও শেখ রাদওয়ান এলাকাতেও ড্রোন হামলা ও নৌবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
]]>