আহমেদাবাদে টস জিতে প্রথমে মুম্বাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাঞ্জাব। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বাইয়ের। দলীয় ১৯ রানে রোহিত শর্মাকে হারায় মুম্বাই। তবে এরপর দলের হাল ধরেন জনি বেয়ারস্টো এবং তিলক বর্মা। দুইজনের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে মুম্বাই।
তবে বেয়ারস্টোকে তুলে নিয়ে তাদের ৫১ রানের জুটি ভাঙেন বিজয়কুমার। এরপর সূর্যকুমারকে নিয়ে ৭২ রানে জুটি গড়েন বর্মা। এরপর তিন বলের মধ্যে এই দুই ব্যাটারকে হারায় মুম্বাই। দুইজনই ৪৪ রান করে ফেরেন। শেষ দিকে নামান ধীরের ১৮ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ২০৩ রানের বিশাল পুঁজি পায় মুম্বাই।
পাঞ্জাবের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন ওমারজাই। একটি করে উইকেট পেয়েছেন জেমিসন, স্টয়নিস, চাহাল এবং বিজয়কুমার।
২০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই প্রভসিমরন সিংকে হারায় পাঞ্জাব। এরপর বড় জুটি গড়ার দিকেই এগোচ্ছিলেন ইংলিশ ও আরিয়া। তবে তাদের জুটি বড় হতে দেননি অশ্বনী কুমার। আরিয়ার উইকেট তুলে নেন তিনি। তার কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন অজি ব্যাটসম্যান জস ইংলিশও। তখন পাঞ্জাবের স্কোর ৭.৫ ওভারে ৭২ রানে ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন: ৯ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে কোহলির বেঙ্গালুরু
তখন নেহাল ওয়াধেরাকে নিয়ে এগোতে থাকেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। দুইজনের মারকুটে ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যটা সহজ হয়ে যায় পাঞ্জাবের জন্য। ওয়াধেরা ২৯ বলে ৪৮ রান করে ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং চালিয়ে যান আইয়ার।
তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত এক ওভার ও ৫ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। আইয়ার ৪১ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। মুম্বাইয়ের হয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন অশ্বনী কুমার।
এদিকে ১১ বছর আইপিএলের ফাইনালে উঠলো পাঞ্জাব। মঙ্গলবারের (৩ জুন) ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুই দলই এখন পর্যন্ত আইপিএলের শিরোপা জেতেনি। ফলে এবারের ফাইনালে যে দলই জিতবে তারাই হলে আইপিএলের নতুন চ্যাম্পিয়ন।