ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম জানান, মাহিমকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত একই গ্রামের নাঈম শিকদার (২৬)কে ঘটনার দিন রাতেই গ্রেফতার করা হয়। তিনি জানান, মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত নাঈম শিকদারের বাড়িতে চড়াও হয়। নাঈমের মা পালাতে গেলে তাকে ধরে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নাঈমের মাকে উদ্ধার করে 'সেভ কাস্টডিতে' নেয়।
জানা যায়, গত ২৭ মে মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে মাহিম নিজ মুদি দোকানে ঘুমিয়ে ছিলেন। তখন নাঈম শিকদার এসে দুটি সিগারেট নিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যেতে চাইলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এই দ্বন্দ্বের জেরেই পরদিন বুধবার দুপুরে নাঈম ফোন করে মাহিমকে বাবাসহ বাড়িতে আসতে বলে।
বেলা ৩টার দিকে মাহিম ও তার পিতা সবুজ সরকার নাঈমের বাড়ির দিকে রওনা হলে মাঝপথে ধারালো ছুরি নিয়ে আকস্মিক হামলা চালায় নাঈম। ছুরিকাঘাতে মাহিমের বুকের ডান পাশে গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: মাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বাবার বিরুদ্ধে ছেলের মামলা
ওসি সাইফুল আলম জানান, মাহিমের পিতা সবুজ সরকার বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নাঈম ও তার ভগ্নিপতিকে নাম উল্লেখ করা হয়। তবে এখনও নাঈমের ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, মাহিমের মৃত্যুর পর হত্যাচেষ্টা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরের জন্য আদালতে আবেদন পাঠানো হয়েছে।
নিহত মাহিমের মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। শনিবার (৩১ মে) ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।