মুন্সীগঞ্জে ইলিশের বাজারে আগুন, কেজি ৩৩০০ টাকা

৩ সপ্তাহ আগে
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে চড়া দরে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। বড় আকারের ইলিশের জন্য কেজিতে গুনতে হচ্ছে ৩ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এই আগুন দরের জন্য ভোক্তারা দায়ী করছেন সিন্ডিকেটকে। আর আড়তদারা বলছেন, সরবরাহ বাড়লেও ঈদের ছুটিতে মাছের চাহিদা বেশি, তাই দাম বেড়েছে।

মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী তীরের মিরকাদিম হাট। হাঁকডাকে সরগরম মাছের আড়ত। ইলিশ ছাড়াও রুই, কাতল, পাঙাশ, আইড়, বোয়ালসহ স্থানীয় খাল-বিলের হরেক রকমের তাজা মাছ ওঠে এ বাজারে। পাওয়া যায় হিমায়িত সামুদ্রিক মাছও। তবে সব মাছের দামই চড়া।

 

বুধবার (১১ জুন) আড়তে প্রতিকেজি নদীর পাঙাশ ৬০০-৯০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, চাষের রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, চাষের কাতল ৪৫০-৫০০ টাকা ও নদীর কাতল ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিকেজি গলদা চিংড়ি ১২০০-১৫০০ টাকা, নদীর আইড় ৮০০-১৪০০ টাকা ও বোয়াল বিক্রি হচ্ছে ৫০০-১০০০ টাকায়। 

 

আরও পড়ুন: চাঁদপুরে এক ইলিশের দাম সাড়ে ১৩ হাজার টাকা!

 

মিরকাদিম মাছের আড়তে ইলিশের দাম উঠেছে কেজিতে তিন হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত। যেটি সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে কেজিতে অন্তত ৬০০ টাকা। এ জন্য সিন্ডিকেটকে দুষছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের বাজার অস্থির করে তুলছে। এতে ইলিশ খেতে পারছে না সাধারণ মানুষ।

 

যদিও খুচরা বিক্রেতা ও আড়তদাররা অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, সরবরাহের পাশাপাশি চাহিদাও বেশি। তাই দর চড়া। বিক্রেতারা বলেন, ঈদের কারণে মাছ কম বাজারে। তবে ক্রেতার সংখ্যা বেশি। এতে দামও কিছুটা বেড়েছে।

 

মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম মৎস্য আড়ত সমিতির আড়তদার হাজী রুহুল আমিন বলেন, ঈদের ছুটি এখনও চলছে। ঢাকার অনেক মানুষই মুন্সিগঞ্জে অবস্থান করেছেন। এতে মাছের চাহিদা বেড়েছে। তবে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

 

মিরকাদিমে আড়তে উপকূলীয় জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাছ আসে। এই হাটের ৪৩টি আড়তে দুই থেকে তিন ঘণ্টায় প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন