মুন্সীগঞ্জ দোতলা সড়কের চরসৈয়দপুর-কাশীপুর অংশ চালু হচ্ছে ডিসেম্বরে

২ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর-পঞ্চবটি সড়ক আধুনিকায়ন ও দোতলা সড়কে রূপান্তরের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অন্যতম এই প্রকল্পের ৬৪ দশমিক ২০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

২ হাজার ২৪২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটি বাস্তবায়ন করছে একটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি পর্যন্ত বিস্তৃত এই সড়কটি পুরোপুরি দোতলা এবং যান চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হচ্ছে।

 

সড়কটি চালু হলে মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা আরও সহজ, নিরাপদ ও গতিশীল হবে। এতে সময়, জ্বালানি ও পরিবহন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

 

চরসৈয়দপুর থেকে কাশীপুর অংশে দ্বিতল সড়কের র‍্যাম্প ও সংযোগ কাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে। প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাঠামো নির্মাণের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

 

প্রকল্প পরিচালক মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘ডিসেম্বরে চরসৈয়দপুর থেকে কাশীপুর পর্যন্ত অংশ চালুর প্রস্তুতি চলছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চললে নির্ধারিত সময়ের আগেই কিছু অংশ খুলে দেয়া সম্ভব হবে।’

 

তবে জমি অধিগ্রহণ বিলম্বিত হওয়ায় প্রায় ৫০০ গার্ডার স্থাপন করা যাচ্ছে না। প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘জমি পেলেই গার্ডার স্থাপন ও ডেকের কাজ আরও দ্রুত হবে। এখন চলছে ডেক স্ল্যাবের কাজ, এরপর গার্ডার স্থাপন এবং রেলিংয়ের কাজ চলবে।’

 

এ পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪৮৮টি গার্ডার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। ২৭৩টি স্প্যানের মধ্যে ৯৫টির ডেক স্ল্যাব ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকিগুলোর কাজ চলছে।

 

পঞ্চবটি অংশে গার্ডার স্থাপন ও ডেক স্ল্যাব স্প্যান ঢালাইয়ের কাজ পুরোদমে চলছে। প্রকল্পটি তিন শিফটে, দিনরাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে যাতে সময়মতো এবং মানসম্মতভাবে নির্মাণ শেষ করা যায়।

 

আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে সেতু ধসে দুই গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

 

৫ গুণ গতি বাড়বে যানবাহনের

 

বর্তমানে মাত্র সাড়ে ৫ মিটার প্রশস্ত মুক্তারপুর-পঞ্চবটি সড়কে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ও যানজট লেগে থাকে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যান চলাচলের গতি প্রায় ৫ গুণ বাড়বে।

 

দোতলা সড়কটির দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ০৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে পঞ্চবটি মোড়ে ভাঙার আদলে ছয় লেন সড়ক প্রসারিত হবে ফতুল্লা ও নারায়ণগঞ্জের দিকে ৩১০ মিটার করে। চরসৈয়দপুর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার হবে দোতলা এবং পুরানো সড়কটি উন্নীত হবে দুই লেনে।

 

শীতলক্ষ্যা-৩ সেতু পয়েন্টে নির্মিতব্য গোলচত্বর থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত ৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার সড়ক হবে চার লেন।

 

এ ছাড়া সড়কে পাঁচটি ওজন স্কেল এবং চারটি টোলপ্লাজা নির্মাণ করা হবে।

 

একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান সড়কের একাংশ ঘিরে মামলা করায় পশ্চিম মুক্তারপুর অংশে কিছুটা কাজ আটকে আছে। জমি সংক্রান্ত সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করতে চায় কর্তৃপক্ষ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন