মুখ থুবড়ে পড়েছে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জের সড়ক

২ সপ্তাহ আগে
রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত। তাতে জমে আছে হাঁটুসমান পানি। দুই পাশের ড্রেন উপচে ময়লা পানি ছড়িয়ে পড়েছে পুরো সড়কজুড়ে। এমন পরিস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার চামড়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসী।

বিশেষ করে শহরের একরামপুর থেকে সতাল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলারও উপায় নেই। চামড়া বন্দর হয়ে হাওর এলাকার মানুষের জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। কিন্তু এর বেহাল অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।

 

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘কষ্টের সীমানা এটা, বাসায় প্রকাশ করা যাইব না। এক-দুই বছর যাবৎ চলার একদম অনুপযোগী হয়ে গেছে।’

 

আরেকজন বলেন, ‘অনেক কোমলমতি স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী এই সড়কে চলাচল করে। তারা হেঁটেও যাইতে পারে না। জুতা কাদায় একেবারে ভরে যায়। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অতিদ্রুত এই রাস্তা মেরামত করতে হবে। না হলে জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।’

 

আরও পড়ুন: মেঘনায় নিখোঁজ কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

 

সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়া বন্দর সড়কটি মহাসড়কে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। তবে প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতায় সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থাও অকেজো হয়ে পড়েছে। একরামপুর-সতাল অংশের পানি নিষ্কাশন করা যাচ্ছে না।

 

কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘পানির আউটলেটগুলো বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা পৌরসভার সহযোগিতা চেয়েছি এবং নিজেরাও চেষ্টা করছি পানিটা বের করে দিতে।’

 

২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর শুরু হয় ৭৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়া বন্দর জেলা মহাসড়ক উন্নীতকরণ প্রকল্প ও ৮ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক নির্মাণ কাজ। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন