মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্যে বাধা দেয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন

৪ সপ্তাহ আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সম্প্রতি পুলিশের সুধী সমাবেশে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বক্তব্য দিতে জামায়াত নেতার বাধা দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (০৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এ প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মুক্তিযোদ্ধারা।


সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও অভ্যুত্থান এক নয়, এটা বলতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম। অনুষ্ঠানের সামনের সারিতে বসা জেলা জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান আঙুল উঁচিয়ে তরিকুল আলমের দিকে তেড়ে আসেন। চিৎকার করে জোরপূর্বক বক্তব্য বন্ধ করতে বাধ্য করেন তিনি। লতিফুর রহমানের বাধার কারণে বক্তব্য রাখতে পারেননি তরিকুল আলম।’

আরও পড়ুন: দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙায় সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৮ নেতার পদ স্থগিত

ঘটনার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিল উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধার প্রতি বিরুপ আচরণ ও কাটাক্ষের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।


জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আলাউদ্দীনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.মোফাজ্জল হক, মো. মনসুর আলী, সৈয়দ মাহতাবুল হক, শওকত আলী, আশরাফ আলী, জয়নাল আবেদিনসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।


প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল স্থানীয় শহীদ সার্টু হলে জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলমকে বক্তব্য দিতে বাধা দেন লতিফুর রহমান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করে ৫ আগস্টের সমতুল্য কামনা করা আমাদের ভুল হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম। 

আরও পড়ুন: আ.লীগ ফ্যাসিস্ট হতে পারে তবে তাদের সবাই খারাপ নয়: ফরহাদ মজহার

পরে লতিফুর রহমান এক ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, ওই মুক্তিযোদ্ধার প্রসঙ্গ বহির্ভূত বক্তব্য দেওয়ার কারণে সুধী সমাবেশে প্রতিবাদ হয়। সেটি থামানোর জন্য মুক্তিযোদ্ধাকে বক্তব্য না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন