মিয়ানমারে কিছুতেই থামছে না জান্তা বাহিনীর দমন-পীড়ন। সম্প্রতি দেশটির হপাকান্তে সামরিক জান্তার গোলাবর্ষণে হতাহত হন বেশ কয়েকজন। ধ্বংস হয়েছে বহু ঘর-বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
কারেনি রাজ্যে আগস্ট মাসজুড়ে জান্তার দমন-পীড়নে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। এর ভেতর নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
মানবাধিকার সংস্থা কারেনি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাক্কারজনক এ হামলায় কেবল মানবিক ক্ষতি নয়, রাজ্যে ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, ক্লিনিক, ধর্মীয় ও সরকারি স্থাপনাও ধ্বংসের মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে আত্মসমর্পণ করে রাজনীতিতে নামার আহ্বান মিয়ানমার জান্তার
এছাড়াও, বহু যানবাহন ও কৃষিজমি ভস্মীভূত হয়েছে, যা জীবিকা ও খাদ্যনিরাপত্তাকে আরও সংকটে ফেলেছে। জান্তার সামরিক তৎপরতা মূলত নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ বলেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, মাত্র পাঁচ বছরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেমে এসেছে অর্ধশতাব্দীর সর্বনিম্ন পর্যায়ে। স্টকহোমভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল অ্যাসিসট্যান্স (আইডিইএ)-এর সবশেষে রিপোর্টে উঠে এসেছে ভয়াবহ চিত্র।
এতে বলা হয়, আফগানিস্তান, বুরকিনা ফাসো আর মিয়ানমারের মতো দেশ, যেগুলো আগেই তলানিতে ছিল, তাদের পতন ঘটেছে আরও তীব্রভাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে গণমাধ্যমকে বাঁচাতে হবে। কিন্তু ভয়াবহ এ ধসের পর গণমাধ্যম আবারও মুক্তির পাবে কি না, সে বিষয়ে আশঙ্কা সবার।
]]>