মিয়ানমার থেকে ট্রলারে ২০ রোহিঙ্গা সেন্টমার্টিনে

১ দিন আগে
সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় মিয়ানমারের এক পরিবারের পাঁচজনসহ ২০ রোহিঙ্গা নাগরিক ভর্তি একটি ট্রলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের সমুদ্রসৈকতের তীরে আশ্রয় নিয়েছেন। ওই ট্রলারটিতে ১৬ জন পুরুষ, তিনজন নারী ও একজন শিশু সন্তান রয়েছেন। আবহাওয়ার অবস্থা ভালো হলে তাদের পুনরায় মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো হবে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ট্রলারটি সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তর সৈকতের তীরে ভিড়ে।

এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।

 

ইউএনও বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি সকালে জেনেছি। সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসককে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তবে যতটুকু জেনেছি স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ে কাজ করছেন।’

 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার দুপুরের দিকে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের উত্তর সৈকতের তীরে ভিড়ে। ওই ট্রলারে একটি পরিবারের এক শিশু, একজন পুরুষ ও তিন নারীসহ পাঁচ সদস্য রয়েছেন। ওই ট্রলারে আরও ১৫ জন পুরুষ রয়েছেন। এরমধ্যে সাতজন ওই ট্রলারের মাঝিমাল্লা। সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তারা প্রাণ বাঁচাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আশ্রয় নিয়েছেন। আবহাওয়ার অবস্থা ভালো হলে তাদের পুনরায় মিয়ানমারের ফেরত পাঠানো হবে বলে জেনেছি।’

 

আরও পড়ুন: শেরপুর সীমান্তে ২১ রোহিঙ্গাকে পুশইন

 

রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আমির সংঘাতে কারণে সেখানকার অবস্থা ভালো নয়। তাই তারা পালিয়ে ভিন্ন দেশের চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এরমধ্যে মিয়ানমারের কারাগার থেকে বের হয়ে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা একটি ট্রলারে করে পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তারা বাধ্য হয়ে সেন্টমার্টিন উত্তর সৈকতের তীরে আশ্রয় নিয়েছেন। পরে স্থানীয় লোকজন ট্রলারটি দেখতে পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর বিজিবির একটি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে একটি হোটেলে কক্ষে আশ্রয় দেয়া হয়। সেখানে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। বর্তমানে তারা বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন।’

 

মিয়ানমার থেকে গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন