স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ-এর এক প্রতিবেদন মতে, সিঙ্গাপুর সরকার দেশটির কর্মসংস্থান সংস্থাগুলোকে মিয়ানমারের পরিবর্তে অন্যান্য দেশ থেকে অভিবাসী কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এর কারণ হিসেবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও মিয়ানমার জান্তার অধীনে চলমান জরুরি অবস্থার কথা উল্লেখ করেছে সিঙ্গাপুর সরকার। সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে এই নির্দেশনা জারি করে। এতে মিয়ানমারের নাগরিকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রতিরোধ বাহিনীর হামলায় মেজরসহ ২২ সেনা নিহত
সিঙ্গাপুর মিয়ানমারের অভিবাসী কর্মীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। তবে দেশটির সরকারের নতুন নির্দেশনার সেই সুযোগ হারাতে পারে মিয়ানমারের নাগরিকেরা। যারা সিঙ্গাপুরে চাকরি খুঁজছিলেন তাদের কেউ কেউ এরই মধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছেন।
যেমন মিয়ানমারের এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিয়ানমার নাউকে বলেছেন, ‘নতুন নিয়ম জারির পর কী হবে, তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।’
মিয়ানমারে ২০২১ সালে ১ ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকার উৎখাত ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর দেশটিতে ১ বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মীদের শীর্ষে বাংলাদেশিরা
এরপর কয়েক দফায় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়। চলতি মাসের শুরুতে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানোর ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন সামরিক কর্তৃপক্ষ।
]]>