গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে জমিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসিংদীর চাষীরা। ঝিঙে, কাঁকরোল, ঢ্যাঁড়শ, করোলা, কুমড়া, বেগুন থেকে শুরু করে নানা জাতের সবজি রয়েছে মাঠে। এছাড়াও বারোমাসি লাউ, ফুলকপি থেকে শুরু করে সব ধরনের চারাও পাওয়া যায় এখানে।
নরসিংদী জেলায় উৎপাদিত এসব শাক-সবজির খ্যাতি রয়েছে দেশব্যাপী। এখানকার প্রায় ৭০ ভাগ সবজিই যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে, হয় রফতানিও। তবে সিন্ডিকেটের কারণে ভালো দাম না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে কৃষকদের।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বাজারে শসার সেঞ্চুরি, কমেছে কাঁচা মরিচের দাম
সেই সঙ্গে রয়েছে কীটনাশক থেকে শুরু করে ওষুধের বাড়তি দামে উৎপাদন খরচ না ওঠার দাবিও। কৃষকরা বলেন, সিন্ডিকেট করে মধ্যস্বত্বভোগীরা বেশি লাভ বাগিয়ে নেয়। কিন্তু চাষিরা কাঙ্ক্ষিত দামটুকুও পায় না।
কৃষি বিভাগ বলছে, প্রশিক্ষণ দেয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল হাই বলেন, চলতি বছর জেলায় অতিবৃষ্টি হয় নি। তবে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। তাই ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। কৃষকের সবজি উৎপাদন ও রফতানিতে সহায়তা করতে কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
জেলার সবচেয়ে বেশি সবজি আবাদ হয় শিবপুর, রায়পুরা ও বেলাবো উপজেলায়। কৃষি বিভাগের তথ্য, চলতি বছর ছয় উপজেলায় ৭ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ করা হয়েছে।
]]>