খালিশপুরের কাশিপুর ক্রিকেট একাডেমি, যেখান থেকে মিরাজের ক্রিকেট-জীবনের যাত্রা শুরু, সেখান থেকেই আনন্দ র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি একাডেমি থেকে শুরু হয়ে খালিশপুর এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে অংশ নেন স্থানীয় তরুণ ক্রিকেটার, ক্রীড়াপ্রেমী, এলাকাবাসী এবং নানা বয়সী ভক্ত-সমর্থকরা।
র্যালি জুড়ে ছিল মুখরিত স্লোগান, ‘আমাদের গর্ব, মিরাজ মিরাজ’, ‘ক্যাপ্টেন মিরাজ লং লিভ’। কারও হাতে মিরাজের ছবি, কেউ হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। পরে স্থানীয়রা একে অন্যকে মিষ্টিমুখ করিয়ে মিরাজের অধিনায়কত্বের খুশি ভাগাভাগি করেন।
মিরাজের শৈশবের কোচ আল মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে মিরাজ একদম যোগ্য একজন ক্রিকেটার। বয়স, অভিজ্ঞতা, ক্রিকেট বোধ সব মিলিয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ওয়ানডে দল নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন: শান্তকে সরিয়ে ওয়ানডের নতুন অধিনায়ক মিরাজ
খালিশপুরের স্থানীয় ক্রিকেটার সজল বলেন, ‘মিরাজ আমাদের খুলনার অহংকার। সে শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও হাজার তরুণের প্রেরণা। সে অধিনায়ক হওয়ায় এখানকার ক্ষুদে ক্রিকেটাররা আরও অনুপ্রাণিত হবে। আমরা বিশ্বাস করি, খুলনা থেকে আরও মিরাজ তৈরি হবে।’
২০১৬ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকে জাতীয় দলে নিয়মিত মিরাজ। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে এ অলরাউন্ডার এরইমধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। নতুন দায়িত্বের শুরুতে মিরাজের প্রতি খুলনাবাসীর এমন ভালোবাসা শুধু তার অর্জনের স্বীকৃতিই নয়, বরং দেশের ক্রিকেট ভবিষ্যতেরও আশাবাদের এক প্রতিচ্ছবি।
]]>