ফলে ৫ আগস্ট ভয় আর আতঙ্কে নগরবাসীর ঘুম ভাঙলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র জনতার উপস্থিতি বাড়তে থাকে রাজপথে। এরই মাঝে দুপুর ১২টার পর খবর আসতে থাকে পালিয়ে যাচ্ছে ফ্যাসিস্ট রাণী শেখ হাসিনা ও তার দোসররা। এতে মুহূর্তের নগরীর রাজপথে বাঁধ ভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠে লাখ লাখ ছাত্র জনতা।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) শোক-বিজয়ের ওই দিবসটিকে স্মরণ করে নগরীর রাজপথ মিছিলে মিছিলে উত্তাল করে তুলে বিএনপি, জামায়াত-শিবির, খেলাফত মজলিস ও স্বৈরাচার বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করছেন প্রধান উপদেষ্টা
পৃথক পৃথক এসব মিছিল আর স্লোগানে উঠে আসে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবি। এতে স্লোগান ছিল- সারা বাংলায় খবর দে, ফ্যাসিস্টের কবর দে। বিচার-বিচার, বিচার চাই, শেখ হাসিনার বিচার চাই- ইত্যাদি।
এদিন বেলা ১২ টায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল করেছে আসনের মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। অন্যদিকে বিকেল ৫ টায় সদরের দাপুনিয়া এলাকায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকনের নেতৃত্বে আরেকটি বিজয় বের করে কোতোয়ালি থানা বিএনপি।
অপরদিকে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দুপুরে মহানগর জামায়াতে ইসলামী গণমিছিল ও মহানগর শিবিরের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি। এর মধ্যে রয়েছে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিজয় মিছিল, শহীদ পরিবার ও জুলাই আহত সম্মিলন, জুলাই যোদ্ধাদের স্মৃতি রোমন্থন, তথ্য প্রদর্শনী, বিজয় কনসার্ট ইত্যাদি।
এসব কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর দীঘারকান্দা ঢাকা বাইপাস এলাকার বৃষ্টি উপেক্ষা করে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন, সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও জুলাই আহত ও শহীদ পরিবোরের সদস্যরা। এসময় জুলাইকে স্মরণ করে অনেকেই স্মৃতি কাতর হয়ে পড়েন। এরপর নগরীর টাউন হল
আরও পড়ুন: মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা
অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ‘জুলাই পুর্ণজাগরণ’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন জুলাই শহিদ পরিবার।
এতে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, রেঞ্জ ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, জুলাই যোদ্ধা আলী হোসেনসহ আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।