বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় পরিচালিত এই অভিযানে কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং চুন উৎপাদনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. শাহ আলম এবং কুমিল্লার সংস্থাপন শাখার ব্যবস্থাপক।
আশরাফুল হক মামুন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, একটি চক্র বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের বিতরণ লাইন থেকে অবৈধভাবে গ্যাস নিয়ে চুন উৎপাদন করে আসছিল। গ্যাসের মাধ্যমে প্রেসার তৈরি করে চুনাপাথর পুড়িয়ে চুন উৎপাদন করা হতো।
দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পরিচালিত এই কারখানায় প্রতি মাসে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার গ্যাস চুরি হতো। এর ফলে আবাসিক বিতরণ লাইনের চাপ কমে যাওয়ায় সাধারণ গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলন্ত ট্রেনে ছোঁড়া পাথরে রেলকর্মী আহত
কোম্পানির কর্মকর্তারা আরও জানান, তদন্তে জানা গেছে, এই অবৈধ কারখানাটি পরিচালনা করছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দক্ষিণ মোড়াইল এলাকার মোশারফ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রাসেল মিয়া। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় কারখানাটি গুঁড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, ভবিষ্যতে এই ধরনের অবৈধ কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্তমানে ২০ হাজার আবাসিক এবং ১৫০টি বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ রয়েছে।
]]>