কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর ফেকামারা গ্রাম। এখানেই তিতির খামার চালু করেছেন উদ্যোক্তা মো. মাসুদুল আলম। খামারের চারপাশে তিতির পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা যায়। চীনা মুরগি নামেও পরিচিত এই পাখি দীর্ঘদিন ধরে বাসা-বাড়িতে পালন করা হলেও দেশে এর বাণিজ্যিক পালন খুব বড় পরিসরে শুরু হয়নি।
মাসুদুল আলম তিন বছর আগে ৯০০টি বাচ্চা তিতির নিয়ে খামার শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সফলতার মুখ দেখেন। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে তিন হাজারের বেশি ছোট-বড় তিতির। তিনি জানান, ‘কিছু বাচ্চা বিক্রি করি, আর অধিকাংশ বাচ্চা এক মাসের পর স্থানীয় মার্কেটে বা ঢাকা নিমতলী পাইকারি মার্কেটে বিক্রি করি।’
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে আনার চাষে সাফল্য, বিদেশি ফলেই লাখ টাকার সম্ভাবনা
তিতির সাড়ে চার থেকে পাঁচ মাস বয়সে ডিম দিতে শুরু করে। বছরে প্রতিটি পাখি ১১০ থেকে ১২০টি ডিম দেয়। বাচ্চা বিক্রি হয় প্রতি পিস ২০০ টাকায়। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো এবং চাহিদা বেশি থাকায় উদ্যোক্তারা লাভবান হচ্ছেন।
নতুন উদ্যোক্তাদের তিতির পালনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র পণ্ডিত বলেন, ‘রোগবালাই খুবই কম হয় এবং তিতিরের মাংস সুস্বাদু। বেকার যুবকরা এটি পালন করে লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলতে পারে। আমরা তাদের নিয়মিত পরামর্শ দেই এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রদান করি।’
উদ্যোক্তারা বলছেন, তিতির খামার থেকে বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা আয় সম্ভব। তারা খামারের সঙ্গে প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণের সুবিধা চাচ্ছেন, যাতে ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত করা যায়।
]]>