শনিবার (৫ জুলাই) কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংবাদটিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের বক্তব্য ভুলভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
গত বুধবার (২ জুলাই) ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘জাপানের শ্রমবাজার: সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে ড. আসিফ নজরুল বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত বিদ্যমান সমঝোতা স্মারক নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
ওই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বাংলাদেশ কর্তৃক সরবরাহকৃত তালিকা থেকে মালয়েশিয়া কিছু সংখ্যক রিক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচন করার সুযোগ পায়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী নিয়োগের অভিযোগে সহস্রাধিক নিয়োগকর্তা আটক
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে সমস্ত রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য বাজার উন্মুক্ত করার বিষয়ে উপদেষ্টা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান সমঝোতা স্মারকটি সংশোধন না করা হলে রিক্রুটিং এজেন্সি নির্বাচনের ক্ষমতা একচেটিয়াভাবে মালয়েশিয়ার হাতেই থাকবে।
ড. আসিফ নজরুল মালয়েশিয়াকে সমঝোতা স্মারক সংশোধনের জন্য কোনো মন্তব্য করেননি অথবা ‘মালয়েশিয়া যদি সমঝোতা স্মারক সংশোধন করতে অস্বীকার করে তবে কর্মী পাঠানো বন্ধ করে দেয়া হবে’ – এমন কোনো কথাও তিনি বলেননি।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও যৌথ সমৃদ্ধির নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করে। উভয় দেশই উভয় দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশি কর্মীদের বিশাল অবদানের কথা স্বীকার করে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া গিয়ে ১৬ বছর ধরে নিখোঁজ মহিউদ্দিনের সন্ধান চায় পরিবার
হাইকমিশন মনে করে, এ ধরনের বানোয়াট ও বিকৃত সংবাদ শুধুমাত্র পাঠককেই বিভ্রান্ত করে না, বরং অভিবাসন বিষয়ে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে চলমান আলোচনার স্পিরিটকেও ক্ষুণ্ণ করে। এই আলোচনা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও বৈষম্যহীন নিয়োগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।
]]>