আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রাইটস (আইআর) অ্যাডভোকেটস জানিয়েছে, সনি এসব শ্রমিককে সহায়তা করতে ‘অর্থবহ এবং সক্রিয় পদক্ষেপ’ নিয়েছে, যার মধ্যে ‘অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা’ প্রদানও অন্তর্ভুক্ত। তবে সহায়তার সঠিক পরিমাণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
আইআর অ্যাডভোকেটসের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক টেরেন্স কলিংসওয়ার্থ এক বিবৃতিতে সনিকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, সনির এই পদক্ষেপ একটি শক্তিশালী অনুস্মারক যে, যখন করপোরেশনগুলো প্রকৃত অর্থে জবাবদিহিতা ও সহযোগিতাকে গ্রহণ করে, তখন পরিবর্তন সম্ভব।
কলিংসওয়ার্থ জানান, বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের বেতন না পাওয়ার বিষয়টি প্রথম সামনে আসার পর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইআর অ্যাডভোকেটস তাদের পূর্বের নিয়োগকর্তা কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিং এসডিএন বিএইচডি এবং কাওয়াগুচির ডাউনস্ট্রিম গ্রাহকদের সঙ্গে বিষয়টি উত্থাপন করে। এর মধ্যে অন্যতম গ্রাহক ছিল সনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অভিযোগ ওঠার পর সনি তাৎক্ষণিকভাবে কাওয়াগুচির সঙ্গে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং কোম্পানিকে দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানায়। এরপর সনি কাওয়াগুচির সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি কর্মীদের অভিযোগ সমাধানে মালয়েশিয়ায় টাস্কফোর্স গঠন
কলিংসওয়ার্থের মতে, কাওয়াগুচির কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে, করপোরেশনগুলো যখন আন্তরিকভাবে মানবাধিকারকে সমর্থন করে, তখন পরিবর্তন কেবল মুখের কথা বা ফাঁকা প্রতিশ্রুতিতে সীমাবদ্ধ থাকে না।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর কাওয়াগুচি তাদের বিদেশি কর্মীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে সম্মত হয়েছিল বলে জানা যায়। এর পাঁচ দিন আগে শ্রমিকরা পোর্ট ক্লাং-এর কারখানার বাইরে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেছিল। পুত্রজায়া শ্রম অফিস তখন তাদের অন্য কোম্পানিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে সম্মত হয়েছিল।
এদিকে অভিবাসী শ্রম অধিকার কর্মী অ্যান্ডি হল সনিকে ডাইকিন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার জন্য সাধুবাদ জানান। ডিসেম্বরে জানা গিয়েছিল যে, বিশ্বের বৃহত্তম এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারক ডাইকিন, ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিদেশি শ্রমিকের জন্য ১২ হাজার মার্কিন ডলার জরুরি খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছিল। তারা প্রতিটি শ্রমিককে অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তাও দিয়েছিল।