বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৮১ জন পুরুষ, ৪৩ জন নারী এবং একজন কিশোরকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৯ জন মিয়ানমার, ২৫ জন ভারত, ১২ জন ইন্দোনেশিয়া, ১৪ জন পাকিস্তান এবং ৫ জন বাংলাদেশের নাগরিক।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের কুয়ালালামপুর শাখার পরিচালক ওয়ান মোহাম্মদ সওপি ওয়ান ইউসুফ জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। তারা অভিযোগ করেন, অবৈধ বিদেশি অভিবাসীরা এই আবাসিক এলাকা দখল করে আছে।
দুই সপ্তাহের নজরদারির পর অভিবাসন কর্মকর্তারা ৩৪০টি ইউনিট নিয়ে গঠিত একটি ব্লক চিহ্নিত করেন। অভিযানে চিহ্নিত ৬৪টি ইউনিট থেকে প্রায় ৪০০ জন বিদেশির কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হয়। বৈধ ভ্রমণ বা পাস সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র না থাকায় ১২৫ জনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ৮ মাসে ১৫ বাংলাদেশিসহ ২৮৬ বিদেশি নারী আটক
আটককৃতদের বেশিরভাগের কাছে বৈধ ভ্রমণ বা পাস সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র ছিল না। কেউ কেউ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এর ধারা ৬(১)(সি) এবং ধারা ১৫(৪) অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ওয়ান মোহামেদ সওপি আরও বলেন, স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে ওই এলাকায় বিদেশিদের মদ্যপান এবং মাদক সেবনের কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি বাড়ির মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন যে বিদেশিদের কাছে বাড়ি ভাড়া দেয়ার সময় তাদের বৈধ কাগজপত্র যাচাই করা উচিত। বাড়ির মালিকদের উচিত স্থানীয়দের শান্তিপূর্ণ ও আরামদায়ক জীবন নিশ্চিত করা। যদি কোনো বাড়ির মালিক অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এর ধারা ৫৬(১)(ডি) অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় কনক্রিট বহনকারী মেশিনে পিষ্ট হয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু
তিনি আরও জানান, যে সকল অভিবাসীর দেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে, তারা ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত চলা মাইগ্র্যান্ট রিপ্যাট্রিয়েশন ২.০’ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারেন। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে তারা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন।
]]>