দিবসটি উপলক্ষে (৫ আগষ্ট) মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ মিশনের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত শিক্ষা নিরীক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. কামরুল আলম ও সেনাবাহিনীর উপ-অর্থ নিয়ন্ত্রক রাজীব দেবনাথ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত এবং ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে মিশনের তৃতীয় সচিব মো. জিল্লুর রহমান ও কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান।
এরপর অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানকালে প্রবাসী-ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ত্যাগের চিত্র তুলে ধরে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: সুইডেনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উদযাপন
এরপর আলোচনা পর্বে জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন দলের শাসনকাল বিশেষ করে পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সময়ের নানা অনিয়ম, অন্যায়-অবিচার ও জুলুম-নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মালদ্বীপ শাখার সভাপতি মো. খলিলুর রহমান।
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি মালদ্বীপ শাখার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম,বাংলাদেশ ফোরাম মালদ্বীপের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ও প্রবাসী বাংলাদেশি নজরুল ইসলাম মামুন ও দুলাল আল মাইজভান্ডারি।
আলোচনা পর্বে মূল বক্তব্য রাখেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ। তিনি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে নিহত সকল শহীদদের।
আরও পড়ুন: কুয়েতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপন
এরপর প্রবাসী-ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় ত্যাগ এবং মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের প্রশংসা করেন। একইসাথে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে সম্মিলিতভাবে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে মালদ্বীপের বিভিন্ন শহর থেকে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও দূতাবাস কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।শেষে জুলাই-আগস্ট মাসে শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়।
]]>